আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
614 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (80 points)
"শাহ রফি উদ্দিন রহি. এর স্বপ্নে মহানবী স. আসেন এবং নিজ হাতে দারুল উলুম দেওবন্দের ভিত্তি দাগিয়ে দেন। পরের দিক সকালে দেখেন মহানবী যে স্বপ্নে দাগিয়ে দিয়ে গেছেন তা বাস্তবেই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে এবং সেই খানেই দারুল উলুম দেওবন্দ নির্মাণ করা হয়।"

এই ঘটনাটি কি সত্য?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
দারুল উলুম দেওবন্দের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও স্থপতির অজানা গল্প  শিরোনামে আওয়ার ইসলাম পত্রিকায় একটি আর্টিকেল লিখা হয়, যা আমি হুবহু তুলে ধরছি, 
আজ থেকে প্রায় দেড়শত বছর পূর্বে ১২৮২হিজরি সনে দারুল উলূম দেওবন্দ নামে একটি দীনি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়৷ যা দশ বছর সাত্তা মসজিদ অতপর কাজী মসজিদ ও জামে মসজিদ দেওবন্দ ইত্যাদিতে তার শিক্ষা কার্যক্রম চালায়। যখন সতন্ত্র স্থানে আবাসনের প্রয়োজন দেখা দিল তখন সেই স্থানটি সকলে মিলে নির্ধারণ করলেন৷

যে ব্যাপারে বহুদিন পূর্বে ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনের রূপকার সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলবী রহ. বলেছিলেন, ‘আমার কাছে এ জায়গা থেকে ইলমের সুঘ্রাণ আসছে৷’ অথচ সে সময় এ জায়গায় শহরের ময়লা আবর্জনা ফেলা হতো ৷ [উলামায়ে হক, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-৭২]

সে স্থানেই দারুল উলূম দেওবন্দের সর্বপ্রথম ভবন নির্মান করা হয়।যা নওদারা হিসেবে পরিচিত।

দারুল উলূম দেওবন্দের দ্বিতীয় মুহতামিম হজরত শাহ রফী উদ্দীন রহ. এর সময় যখন কর্তৃপক্ষের পরামর্শক্রমে দারুল উলূমের প্রথম ভবন নির্মাণের জন্য মাটি খনন করা হচ্ছিল ৷ ভবনের চৌহদ্দিও চিহ্নিত করা হলো ৷ তখন শাহ রফী উদ্দীন রহ. রসূলে কারিম সা. কে স্বপ্নে দেখলেন।

তিনি দেখতে পেলেন রাসুল সা. সেখানে আসলেন এবং বললেন, ‘তোমাদের নির্ধারিত চৌহদ্দি তো খুবই সংকীর্ণ ।’ এ কথা বলেই তিনি স্বীয় লাঠিদিয়ে ভবনের ভিত্তি রাখার জন্য জমি চিহ্নিত করে বলেন, দেয়াল এ পর্যন্ত আসা চাই এবং নিশানের উপর ভবন নির্মাণ করা চাই।’

সকালে উঠে তিনি সেখানে যেয়ে তিনি লাঠির দেয়া চিহ্ন দেখতে পেলেন। অতপর সেই চিহ্নিত স্থান খনন করিয়ে ভবন নির্মাণের শুরু করলেন। [তারিখে দারুল উলুম, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা১০৫]

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দলীল ও তত্বের আলোকে এবং এত অধিক সংখ্যক উলামাদের সংবাদ প্রদানের মাধ্যমে আমরা উক্ত খবরের উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখি যে, তা সত্য।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...