বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(২)উপরোক্ত লিংকে আমরা হুরমতের শর্ত সম্পর্কে বলেছি যে,
হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে।
শর্তগুলো হল,
১–
সরাসরি খালি গায়ে বা এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। যদি এমন মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভূত না হয়, তাহলে নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।
২–
স্পর্শ করলে পুরুষ মহিলা যেকোন একজনের উত্তেজনা অনুভুত হওয়া।
পুরুষের উত্তেজনা অনুভূত হওয়ার লক্ষণ হল গোপনাঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।
(৩)হুরতম হলে যার সাথে হুরমত হবে,তার সাথে বিবাহের মত সম্পর্ক হয়ে যাবে।সুতরা তার উসূল ফুরুকে বিয়ে করা যাবে না।যেমন স্ত্রীর মাকে বা কন্যাকে বিয়ে করা যায় না।
(৪) হুরমত হয়ে গেলে যার সাথে হুরমত হবে, তার উসূল ফুরুকে বিয়ে করা যাবে না।যেমন স্ত্রীর মাকে বা কন্যাকে বিয়ে করা যায় না। এবং বিবাহ বহির্ভুত হুরমত হওয়ার জন্য অবশ্যই তাওবাহ করতে হবে।
(৫) হুরমত হওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃত হওয়া শর্ত নয়, বরং অনিচ্ছায় হলেও হুরমত প্রতিষ্টা হবে।
(৭) না কোনো সমস্যা হবে না।
(৮) আজানের উত্তর যেভাবে দেয়া হয়, ইকামতের উত্তরও সেভাবে দেয়া হবে। শুধুমাত্র কাদ-কা মাতিস-সালাহ এর জবাবে বলা হবে, ‘আকামাহাল্লাহু ওয়া আদামাহ’ অর্থাৎ আল্লাহ তা প্রতিষ্ঠিত রাখুন এবং তা চিরস্থায়ী করুন। ইকামতের জবাব দেয়া মুস্তাহাব।
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، أَوْ عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ بِلَالًا أَخَذَ فِي الْإِقَامَةِ، فَلَمَّا أَنْ قَالَ: قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ، قَالَ: النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَقَامَهَا اللَّهُ وَأَدَامَهَا» وَقَالَ: فِي سَائِرِ الْإِقَامَةِ كَنَحْوِ حَدِيثِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِي الْأَذَانِ (سنن ابى داود، كتاب الصلاة، باب ما يقول اذا سمع الاقامة-1/78، رقم الحديث-528)
وفى الفتح القدير أن إجابة الإقامة مستحبة وفى غيره أنه يقول إذا سمع قد قامت الصلاة: اقامها الله وأدامها، (البحر الرائق-1/259)
ويجيب الإقامة ندبا إجماعا كالأذان ويقول عند قد قامت الصلاة أقامها الله وأدامها، (الدر المختار مع رد
(৯) তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার সর্বোচ্ছ চেষ্টা করতে হবে। নিতান্তই অপারগ হলে তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া উত্তম, এবং যথাসম্ভব তার নামে কিছু সদকাহ করে দেয়াই উত্তম। সর্বোপরি এ বিষয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।