আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
255 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (19 points)
আসসালামু 'আলাইকুম হযরত।
কিছু ঘটনার বিষয়ে জানতে চাচ্ছি, যে এগুলো জাল হাদীস কিনা।
১/ নফসের বিরুদ্ধে জিহাদই সবচেয়ে বড় জিহাদ। এ কথাটি প্রায়ই শোনা যায়।
২/ রসূল (স.) এর পোষা বিড়াল মুয়েজ্জা ও চাদর কাটা নিয়ে আমাদের দেশে একটি প্রচলিত গল্প রয়েছে। এ গল্পটি কি বানোয়াট ঘটনা?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন;
اَفْضَلُ الْجِهَادِ مَنْ جَاهَدَ نَفْسَهُ فِيْ ذَاتِ الله عَزَّ وَ جَلَّ
সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ হল, আল্লাহর জন্য স্বীয় কু-প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ করা। (তিরমিযী; ত্বাবারানী; সিলসিলা ছহীহা: হা/১৪৯১)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
أَفْضَلُ الْجِهَادِ أَنْ يُجَاهِدَ الرَّجُلُ نَفْسَهُ وَهَوَاهُ
কোন ব্যক্তির স্বীয় নাফস ও কু-প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ করাই হল সর্বোত্তম জিহাদ। (ছহীহুল জামে: হা/১০৯৯)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন,
الْمُجَاهِدُ مَنْ جَاهَدَ نَفْسَهُ لِلَّهِ
যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য স্বীয় নাফসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে, সেই প্রকৃত মুজাহিদ। (আহমাদ: হা/২২৮২৬; ইবনু হিববান: হা/৪৬২৪)


ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) উনার কিতাব যাদুল মা‘আদ  এ বলেন, 
নফসের সাথে জিহাদের চারটি স্তর রয়েছে। (১) ইলম, দ্বীনে হক ও হিদায়াতের তালাশের চেষ্টা করা এবং এর উপর নফসকে বাধ্য করা। কারণ দ্বীনে হকের জ্ঞান অর্জন ছাড়া সাফল্য অর্জনের কোন সুযোগ নেই। বান্দা তা অর্জনে ব্যর্থ হলে ইহকাল ও পরকালে সে হতভাগ্য হবে। (২) বান্দা ইলম অর্জন করার পর ইলমকে আমলে পরিণত করবে। কারণ আমল ছাড়া ইলম তার কোন উপকারে আসবেনা। (৩) ইলম ও আমলের প্রতি মানুষকে দাওয়াত দিবে। অজ্ঞদেরকে দ্বীন শিক্ষা দিবে। অন্যথায় সে আল্লাহর নাযিলকৃত হিদায়াত ও সত্য গোপন করার অপরাধে অপরাধী হবে এবং তার ইলম অন্যের উপকার করলেও তার নিজের কোন উপকার করবে না এবং তাকে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষাও করবেনা। (৪) আল্লাহর রাস্তায় দাওয়াতের কাজে যে সমস্ত বিপদ আসে বান্দা তার উপর নফসকে সবর করতে বাধ্য করবে। মানুষেরা তাকে কষ্ট দিলেও সে ধৈর্যধারণ করবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় সে সব কিছুই মাথা পেতে মেনে নিবে। যার ভিতরে এই চারটি গুণ পাওয়া যাবে সে রাববানী তথা আল্লাহর প্রিয় অলী হতে পারবে।

সালাফগণের সকলেই এ ব্যাপারে একমত যে, কোন আলেমই ততক্ষণ পর্যন্ত রাববানী হওয়ার যোগ্য হয় না যতক্ষণ না সে সত্যকে ভালভাবে বুঝতে সক্ষম হয়, সে অনুযায়ী আমল করে এবং তা মানুষকে শিক্ষা দেয়। সুতরাং যে শিখল, আমল করল এবং শিক্ষা দিল তাকে উর্ধ্বাকাশে (জান্নাতে) মহা সম্মানের সাথে ডাকা হবে।(যাদুল মা‘আদ )

(২) রসূল (স.) এর পোষা বিড়াল মুয়েজ্জা ও চাদর কাটা নিয়ে আমাদের দেশে একটি প্রচলিত গল্প রয়েছে। সে গল্পটা কি তা আমাদের কে জানাতে হবে।দয়াকরে কমেন্টে জানাবেন, ইনশাআল্লাহ আমরা উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (19 points)

ছোটবেলা থেকে শুনেছি, রসূল (স.) এর একটি পোষা বিড়াল ছিল। একদিন সে বিড়ালটি তার চাদরের উপর ঘুমিয়ে ছিল। ইতোমধ্যে সলাতের সময় চলে আসলো।
নবীজি(স.) বিড়ালের ঘুম ভাঙাতে চাইলেন না। তাই চাদরের যে অংশে বিড়ালটি ঘুমাচ্ছিল, তিনি সেই অংশটুকু কেটে বাকি চাদর গায়ে জড়িয়ে সলাত আদায় করতে গেলেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...