বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কার্টুনের ছবি আর কার্টুনের ভিডিওর হুকুমে পার্থক্য রয়েছে। ছবির বেলায় হুকুম শক্ত।আর ভিডিওর বেলায় কিছুটা শীতিল।যাইহোক ছবিতে হোক বা ভিডিওতে হোক। সর্বাবস্থায় প্রাণীর ফটো বা ভিডিও এবং কার্টুনের ফটো বা ভিডিও হারাম ও নাজায়েয।
তাসবীর বা ফটো হারাম।এ সম্পর্কে অসংখ্য হাদীস রয়েছে।তন্মধ্যে একটি হাদীস উল্লেখ করছি-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর(রা.)থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّ الَّذِينَ يَصْنَعُونَ هَذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ القِيَامَةِ، يُقَالُ لَهُمْ: أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ "
রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,যারা ফটো বানায়, কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দেয়া হবে এবং তাদের উদ্দেশ্যে বলা হবে,যা তোমরা বানিয়েছ তাতে জীবন দাও।[সহীহ বুখারী-৫৯৫১]
বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/2253 তবে শিক্ষার স্বার্থে কিছু সংখ্যক ফুকাহায়ে কেরাম,প্রাণীর ফটো বা ভিডিওর বেলায়,এবং কার্টুনের ভিডিও বা ফটোর বেলায় রুখসত দিয়ে থাকেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যদি গোপাল ভাড় কার্টনে মিউজিক ও নারী দৃশ্য থাকে, এবং হাশি তামাশা ব্যতিত লেখাপড়া সম্পর্কীয় কোনো কিছু না থাকে, এবং না থাকাই স্বাভাবিক, তাই গোপাড় ভাড় কার্টুন দেখা কখনো জায়েয হবে না।
(২)ব্যাংকের সকল প্রকার চাকুরী হারাম বা নাজায়েয নয়,বরং যে সকল ডিপার্টমেন্ট সুদের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত শুধুমাত্র সেই সব ডিপার্টমেন্টের চাকুরীই হারাম ও নাজায়েয। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
(৩)
বিনা উযরে সুন্নতে মু'আক্বাদাকে তরক করলে গোনাহ হবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
বিনা জরুতে সুন্নতে মু'আক্কাদা নামায বাদ দিলে গোনাহ হবে।