ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।তবে গর্ভবর্তী মহিলার জন্য তাবিজ ব্যবহার জরুরী বা উত্তম বলে ইসলামী শরীয়তে কোনো কিছু নেই।তাবিজকে বিভিন্ন টিকামূলক ইনজেকশনের মত মনে করতে পারেন।যা দেওয়া বা না দেওয়া সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।যেমন নিম্নোক্ত হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি নিজ নাবালিগ সন্তাদিকে তাবিজ লঠকিয়ে দিতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়-
আমর ইবনে শুয়াইব তার সনদে বর্ণনা করেন,
ﻋﻦ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ : ( ﺇِﺫَﺍ ﻓَﺰِﻉَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﻓَﻠْﻴَﻘُﻞْ : ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﻏَﻀَﺒِﻪِ ﻭَﻋِﻘَﺎﺑِﻪِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ ، ﻭَﻣِﻦْ ﻫَﻤَﺰَﺍﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻀُﺮُﻭﻥِ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻦْ ﺗَﻀُﺮَّﻩُ ) . . ﻓَﻜَﺎﻥَ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ، ﻳُﻠَﻘِّﻨُﻬَﺎ ﻣَﻦْ ﺑَﻠَﻎَ ﻣِﻦْ ﻭَﻟَﺪِﻩِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺒْﻠُﻎْ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻛَﺘَﺒَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻚٍّ ﺛُﻢَّ ﻋَﻠَّﻘَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻋُﻨُﻘِﻪِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘুমে ভয় পায়, তখন সে যেন পড়ে- 'আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ই'ক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াতিনি,ওয়া আইয়াহদুরুন' এই দু'আ পড়লে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি, তার সাবালক সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দিতেন।এবং নাবালক সন্তাদির গলায় উক্ত দু'আ তাবিজ আকারে লিখে ঝুলিয়ে দিতেন।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৪৭৭)
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি উনার নাবালক সন্তানদের গলায় তাবিজ ঝুলিয়ে দিতেন।হাদীসের সনদের উপর মুহাদ্দিসগণের কালাম রয়েছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) কাওকে জ্বীন আসর করলে তখন কোনো আমলদার নেককার বুজুগের শরণাপন্ন হতে হবে।
(২) যারা রুকিয়া করেন, তাদের জন্য দুষ্ট খারাপ জ্বীনকে মেরে ফেলা জায়েয হবে না। এবং এটা সম্ভবও না।
(৩) যদি তাতে প্রাণীর ছবি থাকে, এবং মিউজিক থাকে, বিশেষ করে তাতে নারীদৃশ্য থাকে, তাহলে ভিডিও গেইম খেলা হারাম।
(৪) কোনো জিনিষ খাওয়া মাকরুহ হলেও তাকে বিক্রি করা জায়েয। যেমন কচ্ছপ সাপ ইত্যাদি খাওয়া হারাম তবে বিক্রি করা জায়েয ।েকননা তা দ্বারা ভিন্ন ফায়দা গ্রহণ করা যায়।
(৫)বলতে যদি তা ব্রেইনকে অবশ করে ফেলে তাহলে তা হারাম। কিন্তু এগুলো তো ব্রেইনকে অবশ করে না। তবে সিগারেট ভিন্ন কারণে মাকরুহে তাহরীমি।
(৬জাল হাদীস জানার পর তাকে দাওয়াতের কাজের জন্য ব্যবহার করা গোনাহের কাজ।
(৭) শরয়ী প্রয়োজন ব্যতীত অমুসলিম দেশে বসবাস করা যাবে না।বিনা প্রয়োজনে যারা অমুসলিম দেশে বসবাস করবে,তাদের সম্পর্কে হাদীসে ধমকি এসেছে যে,রাসূলুল্লাহ সাঃ তাদের জন্য সুপারিশ করবেন না।বাস্তবে যে সুপারিশ করবেন না, এমনটা নয়,বরং এটা একটা ধমকি।কেননা অমুসলিম দেশে থাকা নিজের সন্তাদির জন্য হুমকি স্বরূপ।এমনকি নিজের ঈমান আমলের জন্যও হুমকি স্বরূপ। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/ 3447