ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রথম ও দ্বিতীয় তালাকের পর রাজআত করা যায়।তথা ইদ্দতের ভিতর স্বামী তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।এরজন্য কোনো আনুষ্টানিকতার প্রয়োজন নেই।
রাজআতের পদ্ধতি সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় উল্লেখ করা হয়,
الرجعة إبقاء النكاح على ما كان ما دامت في العدة كذا في التبيين وهي على ضربين: سني وبدعي (فالسني) أن يراجعها بالقول ويشهد على رجعتها شاهدين ويعلمها بذلك فإذا راجعها بالقول نحو أن يقول لها: راجعتك أو راجعت امرأتي ولم يشهد على ذلك أو أشهد ولم يعلمها بذلك فهو بدعي مخالف للسنة والرجعة صحيحة وإن راجعها بالفعل مثل أن يطأها أو يقبلها بشهوة أو ينظر إلى فرجها بشهوة فإنه يصير مراجعا عندنا إلا أنه يكره له ذلك ويستحب أن يراجعها بعد ذلك بالإشهاد كذا في الجوهرة النيرة.
রাজআত হল,ইদ্দতের ভিতরে বিয়েকে টিকিয়ে রাখা,স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা।রাজআত দুই প্রকার
(ক)সুন্নাহ সম্মত- এর ব্যখ্যা হল, কথার মাধ্যমে রাজআত করা হবে।এবং রাজআত করার সময় দুইজন সাক্ষীকে উপস্থিত রাখা হবে।এবং তাদেরকে রাজাতের বিষয় সম্পর্কে অবগত করা হবে।যখন কথার মাধ্যমে রাজআত করা হবে,তখন স্বামী বলবে-আমি তোমাকে ফিরিয়ে নিলাম,বা বলবে,আমি আমার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিলাম।
(খ)যদি দুজন সাক্ষীর অনুপস্থিতিতে বা উপস্থিত তবে তাদেরকে অবগত না করে কেউ রাজআত করে নেয়,তাহলে এটা রাজাত হবে।তবে বিদআত হবে।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনারদের সংসার এখনও রয়েছে, সুতরাং এমনিতেই ফিরিয়ে নিলে হবে। নতুন মহর নির্ধারণ করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।
(২) এই মুহুর্তে (দ্বিতীয় তালাক পতিত হয়ে ইদ্দত অবস্থায়) আপনার সাথে আপনার স্ত্রীর দেখা দেয়া জায়েয রয়েছে।
(৩) তিন হয়েয অতিবাহিত হওয়ার পর অটোমেটিক তিন তালাক পতিত হবে না। বরং তিন হায়েয় অতিবাহিত হওয়ার পর স্ত্রী বায়েন হয়ে যাবে। তখন আর এমনিতেই ফিরিয়ে নিলে হবে না, বরং তখন নতুন বিয়ের মাধ্যমে ফিরিয়ে নিতে হবে।