নাপাক ধোয়া এবং নামায দিয়ে প্রশ্ন

Question

১।আমি নাপাক কাপড়ের সাথে একটা সেন্টু গেঞ্জি ভিজাই, নাপক কাপড় খোলিয়ে চিপড়িয়ে রেখে,সেন্টু গেঞ্জি এক হাত দিয়ে কয়েকবার পানিতে খোলান দিয়ে চিপড়িয়ে পানি ফেলে দেই।কিন্তু দুই হাত দিয়ে গেঞ্জি ছড়াইয়া দিয়া খোলাই নাই। এভাবে আমি তিনবার ধুয়ে চিপড়িয়ে পানি ফেলে দেই।

 

আমার গেঞ্জি কি পাক হয়েছে?

 

২।স্বপ্নদোষ হওয়ার পর,সেই প্যান্ট পরে গোসল করার আগে,যেখানে বীর্য এর চিহ্ন আছে তার উপর পানি ঢেলে ঐ স্থান হাত দিয়ে ডলে পরিষ্কার করার পর উক্ত কাপড় পরে গোসল করলে ;সেই কাপড় কি পাক হয়ে যাবে?

 

৩।রাস্তায় কোথাও গোবর বা এ জাতীয় কোন নাপাকি থাকলে।বৃষ্টি আসলে কি এর আশেপাশের অংশের মাটিও নাপাক হয় (কিন্তু যদি তাতে গোবরের কোন চিহ্ন না থাকে) নাকি শুধু ঐ গোবরের অংশ নাপাক। যেহেতু বষ্টির পানি গোবরের উপর পরে আশেপাশের মাটিতে পানি গড়িয়ে আসে গোবর না।

আর মাটির ঐ অংশের উপর দিয়ে হেঁটে আসলে কি জুতার নিচ নাপাক হবে?

 

৪।জামাতে নামায পড়ার সময় যদি কাতার থেকে একটু আগ পিছ হয়ে যাই ,এবং তা ঠিক করতে যদি নামাযরত অবস্থায় একটু আগ-পিছ হই;তাতে কি নামাযে সমস্যা হবে।

আর একাকী নামায পড়া অবস্থায় দেখলাম জায়নামায একটু ব্যাকা হয়ে আছে;পা দিয়ে যদি তা সোজা করি ;তাতে কি নামাযে সমস্যা হবে?

৫।নামাযে সিজদাহ শেষ করে উঠে সোজা হয়ে দাড়িয়ে একটু নিশ্বাস নিয়ে সূরা ফাতিহা পড়া শুরু করলে কি তিন তাজবিহ পরিমাণ দেরি হয়?এক্ষেত্রে কি সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে?

এই বিষয়টা নিয়ে আমার খুবই সমস্যা হয়।খালি মনে হয় তিন তাজবিহ পরিমাণ হয়ত সময় চলে গেল।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

(১) আপনার গেঞ্জি পবিত্র হয় নাই। 

(২) স্বপ্নদোষ হওয়ার পর,সেই প্যান্ট পরে গোসল করার আগে,যেখানে বীর্য এর চিহ্ন আছে তার উপর পানি ঢেলে ঐ স্থান হাত দিয়ে ডলে পরিষ্কার করার পর উক্ত কাপড় পরে গোসল করলে ;সেই কাপড় পাক হয়ে যাবে।

(৩) রাস্তায় কোথাও গোবর বা এ জাতীয় কোন নাপাকি থাকলে।বৃষ্টি আসলে  এর আশেপাশের অংশের মাটিও নাপাক হবেনা।   যেহেতু বষ্টির পানি গোবরের উপর পরে আশেপাশের মাটিতে পানি গড়িয়ে আসে গোবর না।আর মাটির ঐ অংশের উপর দিয়ে হেঁটে আসলে  জুতার নিচ নাপাক হবে না। 

https://www.ifatwa.info/2677 নং ফাতাওয়ায় আমরা বর্ণনা করেছি যে,

ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,

(قوله: وطين شارع)طين الشوارع عفو وإن ملأ الثوب للضرورة ولو مختلطا بالعذرات وتجوز الصلاة معه.................أقول: والعفو مقيد بما إذا لم يظهر فيه أثر النجاسة كما نقله في الفتح عن التجنيس

প্রয়োজনের ধরুণ রাস্তার মাঠি ক্ষমাযোগ্য। যদিও কাপড় মাঠি দ্বারা লেপ্টে যাউক না কেন এবং যদিও সেই মাঠি নাজাসত দ্বারা মিশ্রিত হউক না কেন।এদ্ধারা নামায বিশুদ্ধ হবে।তবে যদি  নাজাসতের চিন্থ দৃশ্যমান থাকে,(এক দিরহামের বেশী হলে)তাহলে নামায বিশুদ্ধ হবে না।(রদ্দুল মুহতার-১/৪২৪) 

(৪) না, এতে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না। 

(৫) তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় অনেক। সুতরাং আপনার বিবরণমতে তিন তাসবিহ হবে না। হ্যা, যদি হয়, তাহলে সাহু সিজদা দিতে হবে।