আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
297 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম।
এখন অনেক ইউটিউব চ্যানেলেই দেখা যায় সুন্দর সুন্দর ইসলামিক মোটিভশন,  ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন লেকচার সহ বিভিন্ন প্রোডাক্টিভ আলোচনা করেন নারীরা। এই আলোচনা গুলো আসলেই খুব সুন্দর এবং মেয়েদেরকে ইসলামের দিকে মোটিভেট করার মতো। আমি বাংলাদেশের নারী বক্তাদের কথা বলছিনা৷  ইউরোপ কান্ট্রিগুলোর  এবং পাকিস্তানের কিছু নারীর কথা বলছি।
১.এদের অনেকে বোরকা পড়ে তবে মুখ খোলা রাখে।
২.অনেকে আবার মুখ ঢেকে পর্দা করেন তবে হাত মোজা ছাড়া।

২. অনেকে মুখও ঢাকে,  পর্দা ও করে তবে বোরকার হাতা হাতের কব্জির উপরে উঠে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হাত দেখা যায়।
৩. অনেকে  পুরোপুরি হাত মোজাসহ খাস পর্দা করেন।
৪. অনেকে বোরকার সাথে মুখও ঢাকেন তবে তাদের ভ্রু দেখা যায়।  এবং তাদের বোরকাগুলো কালো না হয়ে সুন্দর কালারের হওয়ায় তাদের কিছুটা আকর্ষণীয়ও লাগে।

এসব নারী বক্তাদের অনেকেরই কন্ঠস্বর সুন্দর।
***এখন প্রথম প্রশ্ন হলো এভাবে নিজে ভিডিওর সামনে এসে কোনো ইসলামিক আলোচনা করা কী জায়েজ?

তাছাড়া অনেকেই বলেন ইউরোপের দেশগুলোতে বাস করে পর্দা করাটা নাকি কষ্টসাধ্য তাই তারা যে অন্তত ঐসব দেশে থাকা সত্ত্বেও পর্দা করছেন এটাই অনেক বেশি।  অতএব তারা মুখ ঢাকলো কিনা,  হাত মোজা পড়ল কিনা,  সুন্দর বোরকা পড়ল কিনা এসব দেখার বিষয় না।  তারা যে অন্তত পর্দা করে এটাই যথেষ্ট। সাধারণত ঐসব দেশ নোংরামিতে ভরা।  ওখানে নিজে পবিত্র থাকার চেষ্টা ধরে রাখা কঠিন।
*** অতএব দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো আসলেই কী ইউরোপের এসব দেশে বাস করা সত্ত্বেও তারা যে এভাবে পর্দা করে এতে তাদের পর্দার বিধান পালন হয়ে যাবে? ★এভাবে দেশ ও পরিবেশ ভেদে কী পর্দার বিধানে পরিবর্তন হয়?★ একইভাবে তারা যদি ভিডিওতে এসে কোনো সুন্দর উপকারী ইলমি আলোচনা করে তাহলে কী তা জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ;১৯/১৯৩ এ নারীদের আওয়াজ সতরের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার (মারজুহ) রেওয়াতকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে অগ্রাধিকার দিয়ে বলা হয়েছে যে,পর-পুরুষের সামনে মহিলা বক্তৃতা দিতে পারবে না।বক্তৃতা প্রদান জায়েয হবে না।

★নারীকন্ঠ সতরের অন্তর্ভুক্ত কি না? 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট- 

কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে,আল্লাহ তা'আলা বলেন,

 ﻳَﺎ ﻧِﺴَﺎﺀ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﻟَﺴْﺘُﻦَّ ﻛَﺄَﺣَﺪٍ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﺇِﻥِ ﺍﺗَّﻘَﻴْﺘُﻦَّ ﻓَﻠَﺎ ﺗَﺨْﻀَﻌْﻦَ ﺑِﺎﻟْﻘَﻮْﻝِ ﻓَﻴَﻄْﻤَﻊَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻓِﻲ ﻗَﻠْﺒِﻪِ ﻣَﺮَﺽٌ ﻭَﻗُﻠْﻦَ ﻗَﻮْﻟًﺎ ﻣَّﻌْﺮُﻭﻓًﺎ 

 (তরজমা) তোমরা (পর পুরুষের সাথে) বাক্যালাপে কোমলতা অবলম্বন কর না। যাতে এরূপ লোকের অন্তরে আকাঙ্ক্ষা (সঞ্চার) হয়, যার অন্তরে কুপ্রবৃত্তি রয়েছে। (সূরা আহযাব : ৩২)

লক্ষণীয় বিষয় হল, কন্ঠস্বরের কোমলতা পরিহারের নির্দেশ সরাসরি নবীযুগের নারীদেরকে দেয়া হয়েছে। এখন কথা হল, তাদের ব্যাপারেই যদি এমন নির্দেশ হয়ে থাকে তাহলে এ যুগের মহিলা বক্তাদের ইউটিউব ইত্যাদিতে  আলোচনা করা এবং সুরেলা কন্ঠ দেয়া কতটা শরীয়ত বিরোধী কাজ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মোটকথা প্রশ্নোক্ত বক্তব্য শরীয়তে নিষিদ্ধ।

তবে মহিলাদের জন্য এসব বক্তব শ্রবন করা জায়েজ আছে।
বিস্তারিত জানুনঃ  
,
(০২)
এভাবে দেশ ও পরিবেশ ভেদে পর্দার বিধানে পরিবর্তন হয়না।
তবে কোনো দেশে যদি পূর্ণাঙ্গ পর্দা পালন করতে কেহ রাষ্ট্রীয় ভাবে বাধাগ্রস্ত হোন,তাহলে ইস্তেগফার পাঠ করার সহিত দেশীয় আইন মাফিক পর্দা করবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 129 views
...