আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
337 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (59 points)
সুদখোর  ব্যক্তির জানাযার নামায পড়া যাবে কি? মূলত আমি জানতে চাচ্ছি কোন শ্রেণীর লোকের জানাযা পড়া যাবে না/মাকরুহ হবে। নাকি যত বড় প্রকাশ্য পাপীই হোক জানাযা পড়া উচিত হবে এবং নেকি পাওয়া যাবে? এব্যাপারে বিজ্ঞ মুফতি সাহেবের কাছে জানতে চাচ্ছি। ধন্যবাদ।

1 Answer

0 votes
by (559,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


সুদ খোর ব্যাক্তির জানাজা নামাজ পড়তে হবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৬/৬৬)
যত বড় প্রকাশ্য পাপীই হোক জানাযা পড়া যাবে, এবং নেকি পাওয়া যাবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عن أبي ہریرۃ رضي اللّٰہ تعالیٰ عنہ أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: صلوا علی کل بر وفاجر۔ (السنن الکبریٰ للبیہقي ۴؍۲۹ رقم: ۶۸۳۲ بیروت)
সারমর্মঃ
হযরত হুরাইরা রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেন, প্রত্যেক নেককার ও বদকার ব্যাক্তির উপর জানাজা নামাজ পড়।
  
عن عمرو بن یحییٰ رضي اللّٰہ تعالیٰ عنہ قال: صلی رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ تعالیٰ علیہ وسلم علی ولد الزنا وأمہ ماتت في نفاسہا۔ (المصنف لعبد الرزاق، کتاب الجنائز / باب الصلاۃ علی ولد الزنا والمرجوم ۳؍۵۳۴ رقم: ۶۶۱۲ المکتب الإسلامي)
সারমর্মঃ
আমর বিন ইয়াহইয়া রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাঃ এমন যেনার সন্তানের জানাযা নামাজ পড়িয়েছেন,যার মা নেফাস হালতে মারা গিয়েছে।    

عن ابن عمر رضي اللّٰہ عنہ أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم صلی علی زانیۃ ماتت في نفاسہا وولدہا۔ (رواہ الطبراني في الکبیر، مجمع الزوائد للہیثمي / باب الصلاۃ علی أہل لا إلٰہ إلا اللّٰہ ۳؍۴۱ بیروت)
সারমর্মঃ
হযরত ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ সাঃ এমন যেনার সন্তানের জানাযা নামাজ পড়িয়েছেন,যার মা নেফাস হালতে মারা গিয়েছে।    


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,   
আত্মহত্যা কারী,রাষ্ট্রদ্রোহী,ডাকাত দের জানাযা নামাজ সমাজের যে সমস্ত মানুষ দ্বীন ধর্মের ব্যাপারে অনুসরণীয়, তারা উক্ত ব্যক্তিদের জানাযার নামায পড়বে না।তাছাড়া অন্যান্য ব্যক্তিগণ তথা জনসাধারণ পড়তে পারবে।

আত্মহত্যা মহাপাপ এবং এর শাস্তিও খুব ভয়াবহ- একথা সবাই জানে। কিন্তু তার জানাযা পড়া যাবে না বা তার জন্য মাগফিরাতের দুআ করা যাবে না- এ ধারণা ঠিক নয়। তার জানাযাও পড়া হবে তার জন্য মাগফিরাতের দুআও করা যাবে।

তবে এমন ব্যক্তির জানাযায় শীর্ষস্থানীয় দ্বীনী ব্যক্তিত্ব না গিয়ে সাধারণ লোক দিয়ে জানাযার নামায পড়িয়ে নেওয়াই উত্তম। -শরহু মুসলিম, নববী ৭/৪৭ (৯৭৮ নং হাদীসের অধীনে)

আত্মহত্যাকারী ব্যক্তিকে গোসল দিতে হবে। তার জানাজা নামাজও পড়তে হবে এবং তাকে মুসলমানদের কবরস্থানে দাফনও করতে হবে।
তবে যেহেতু এটি একটি মহাপাপ তাই এরূপ ব্যক্তির জানাজায় আলেম-ওলামা ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ উপস্থিত হবেন না। যাতে অন্যদের জন্য এটি শিক্ষণীয় হয়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، وَشَرِيكٌ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، قَتَلَ نَفْسَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي هَذَا فَقَالَ بَعْضُهُمْ يُصَلَّى عَلَى كُلِّ مَنْ صَلَّى إِلَى الْقِبْلَةِ وَعَلَى قَاتِلِ النَّفْسِ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَإِسْحَاقَ . وَقَالَ أَحْمَدُ لاَ يُصَلِّي الإِمَامُ عَلَى قَاتِلِ النَّفْسِ وَيُصَلِّي عَلَيْهِ غَيْرُ الإِمَامِ .

জাবির ইবনু সামুরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, কোন এক লোক আত্মহত্যা করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জানাযা আদায় করেননি।

— সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৫২৬), মুসলিম

এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। আলিমদের মাঝে আত্মহত্যাকারীর জানাযা আদায়ের ব্যাপারে মতের অমিল আছে। একদল আলিম বলেন, কিবলার দিকে ফিরে যেসব লোক নামায আদায় করে তাদের ও আত্মহত্যাকারীর জানাযা আদায় করা হবে। এই মতের প্রবক্তা হচ্ছেন সুফিয়ান সাওরী ও ইসহাক (রহঃ)। ইমাম আহমাদ বলেন, আত্মহত্যাকারীর জানাযার নামায ইমাম সাহেব আদায় করবেন না, তবে অন্যান্য লোকেরা তা আদায় করবে।


وھی (ای صلاۃ الجنازۃ) فرض علی کل مسلم مات خلا اربعۃ بغاۃ او قطاع طریق الخ (الد المختار علی ہامش ردالمحتار ج ۱ص ۸۱۴۔ط۔س۔ج۲ص۲۱۰) ظفیر۔
আত্মহত্যা কারী,রাষ্ট্রদ্রোহী,ডাকাত দের জানাযা নামাজ ফরজ নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...