জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক্ষেত্রেও সে হানাফি মাযহাব অবলম্বন কারী হিসেবেই থাকবে।
মাযহাব থেকে বের হয়ে যাবেনা।
,
,
(০১)
তাকবিরে তাহরিমা বাধা,রুকুতে যাওয়ার আগে তাকবির বলে,রুকু থেকে উঠার পর তাকবির বলে হাত উঠানো।
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ : ( ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺮْﻓَﻊُ ﻳَﺪَﻳْﻪِ ﺣَﺬْﻭَ ﻣَﻨْﻜِﺒَﻴْﻪِ ﺇِﺫَﺍ ﺍﻓْﺘَﺘَﺢَ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ، ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻛَﺒَّﺮَ ﻟِﻠﺮُّﻛُﻮﻉِ ، ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺭَﻓَﻊَ ﺭَﺃْﺳَﻪُ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺮُّﻛُﻮﻉِ ﺭَﻓَﻌَﻬُﻤَﺎ ﻛَﺬَﻟِﻚَ ﺃَﻳْﻀًﺎ ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺳَﻤِﻊَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻤَﻦْ ﺣَﻤِﺪَﻩُ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ، ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻟَﺎ ﻳَﻔْﻌَﻞُ ﺫَﻟِﻚَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴُّﺠُﻮﺩِ )
তাকবীরে তাহরিমার সময় রাসূলুল্লাহ সাঃ কাধ বরাবর হাতদ্বয় তুলেছেন।এবং যখন রু'কুর জন্য তাকবীর বলেছেন,তখনও হাতদ্বয়(কাধ পর্যন্ত) তুলেছেন।এবং যখন রু'কু থেকে মাথা তুলেছেন তখনও হাতদ্বয় (কাধ পর্যন্ত) তুলেছেন।অতঃপর সা'মি আল্লাহু লিমান হামিদাহ এবং তারপর রাব্বানা লাকাল হামদ বলেছেন।কিন্তু তিনি সেজদায় এমনটা করেননি। তথা কাধ পর্যন্ত হাতদ্বয় তুলেননি।(সহীহ বুখারী-৭৩৫-৭৩৯ সহীহ মুসলিম-৩৯০)
(০২)
তাকবিরে তাহরিমা বাধা,রুকুতে যাওয়ার আগে তাকবির বলে,রুকু থেকে উঠার পর
তাকবির বলে,সেজদাতে যাওয়ার সময় তাকবির বলে, এবং সেজদা থেকে উঠার সময় তাকবির বলে হাত উঠানো।
★মালিক বিন হুয়াইরিস রাঃ থেকে বর্ণনা হল, রাসূল সাঃ সেজদাতে যাওয়া এবং সেজদা থেকে উঠার সময়ও রফয়ে ইয়াদাইন করেছেন।
عن مالك بن الحويرث أنه : رأى النبي صلى الله عليه و سلم رفع يديه في صلاته وإذا ركع وإذا رفع رأسه من الركوع وإذا سجد وإذا رفع رأسه من السجود حتى يحاذي بهما فروع أذنيه
قال الشيخ الألباني : صحيح
মালিক বিন হুয়াইরিস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূল সাঃ কে দেখেছেন যে, রাসূল সাঃ নামাযে উভয় হাতকে উঠাতেন। যখন রুকু করতেন, যখন রুকু থেকে মাথা উঠাতেন, এবং যখন সেজদায় যেতেন, এবং যখন সেজদা থেকে মাথা উঠাতেন। এমনকি তিনি হাতকে কান বরাবর করতেন।
শায়েখ নাসীরুদ্দীন আলবানী রহঃ বলেন- হাদীসটি সহীহ।
{সুনানে নাসায়ী বিআহকামিল আলবানী, হাদীস নং-১০৮৫}
(০৩)
শুধু মাত্র নামাজের শুরুতে তাকবিরে তাহরিমা বলার সময় হাত উঠানো।
বাকি সময় আর না উঠানো।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَلْقَمَةَ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ أَلاَ أُصَلِّى بِكُمْ صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ ﷺ قَالَ فَصَلَّى فَلَمْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ إِلاَّ مَرَّة
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. বলেন আমি কি তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নামায সম্পর্কে অবহিত করব না? এ কথা বলে তিনি নামায পড়ে দেখালেন এবং নামাযে তাকবীরে তাহরীমার সময় একবার রাফয়ে’ ইয়াদাইন করলেন। নামাযে আর কোথাও তিনি রাফয়ে’ ইয়াদাইন করলেন না। (আবু দাউদ ৭৪৮, তিরমিযী ২৫৭, সুনানে দারেমী ১৩০৪, সুনানে নাসায়ী ৬৪৫, সুনানে বায়হাকী কুবরা মুসনাদে আহমাদ ৩৬৮১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
ফিক্বহে হানাফী মতে তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া বাকি সময় হাত উঠানো এবং সূরা ফাতিহার পর জোরে আমীন বলা উত্তম নয়। এ বক্তব্যটিও সহীহ হাদীস এবং সাহাবাদের ফাতওয়া এবং বিজ্ঞ ব্যক্তিদের আমলের সূত্র পরম্পরায় আমাদের পর্যন্ত পৌঁছেছে, তাই এটি আমাদের নিকট উত্তম।
,
আবার অন্য ফকীহ,এবং কিছু ইসলামি স্কলারগন এর বিপরীত মত পোষণ করেন। এক্ষেত্রে এই পার্থক্যটুকু শুধু সুন্নাহ আদায়ের উত্তম ও অনুত্তম পদ্ধতি নিয়ে।
অর্থ্যাৎ চার মাযহাবই এ বিষয়ে একমত যে, রাফয়ে’ ইয়াদাইন করা হোক বা না হোক; এতে নামাযের কোনো ক্ষতি হবে না।
,
,
★সুতরাং আমাদের হানাফি মাযহাবের অনুসারী গন শুধুমাত্র তাকবিরে তাহরিমা বলার সময়েই হাত উঠাবে।
প্রত্যেক বার আল্লাহু আকবার বলার পর হাত উঠাবেনা।
,
তবে ভিন্ন মত অনুসারীগন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।
বিস্তারিত জানুনঃ