বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো সমস্যা হবেনা।
কাপড় পাক হয়ে যাবে।
,
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
قَالَ عَطَاءٌ: «تَوَضَّأْ مِنْ كُلِّ حَدَثٍ مِنَ الْبَوْلِ، وَالْخَلَاءِ، وَالْفُسَاءِ، وَالضُّرَاطِ، وَمِنْ كُلِّ حَدَثٍ يَخْرُجُ مِنَ الْإِنْسَانِ
হযরত আত্বা রহঃ বলেন, অযু কর প্রত্যেক হদসের কারণে। যেমন পেশাব, পায়খানা, বায়ু বের হওয়া শব্দসহ বা শব্দ ছাড়া। প্রতিটি বস্তু যা মানুষের শরীর থেকে বের হয়। [মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক-১/১৩৯, হাদীস নং-৫২৭]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সবগুলোর রক্ত একত্রিত করা হলে যদি গড়িয়ে পড়ার মতো হয়,তাহলে অযু ভেঙ্গে যাবে।
الخارج من غير السبيلين إذا لم يكن نجسا لا يعتبر حدثا باتفاق الفقهاء. واختلفوا فيما إذا كان نجسا، فقال الحنفية: ما يخرج من غير السبيلين من النجاسة حدث ينقض الوضوء بشرط أن يكون سائلا جاوز إلى محل يطلب تطهيره ولو ندبا، كدم وقيح وصديد عن رأس جرح، وكقيء ملأ الفم من مرة أو علق أو طعام أو ماء، لا بلغم، وإن قاء دما أو قيحا نقض وإن لم يملأ الفم عند أبي حنيفة وأبي يوسف خلافا لمحمد، ويشترط عند الحنابلة أن يكون كثيرا إلا الغائط والبول فلا تشترط فيهما الكثرة عندهم.
والقول بأن النجس الخارج من غير السبيلين حدث هو قول كثير من الصحابة والتابعين.
প্রস্রাব পায়খানার রাস্তা ব্যতীত অন্যত্র থেকে বাহির হওয়া জিনিষ যদি নাজাসত না হয়,তাহলে সেটা দ্বারা অজু ভঙ্গ হবে না।এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের ঐক্যমত রয়েছে।আর যদি নাজাসত হয়,তাহলে হানাফি ব্যখ্যা অনুযায়ী তখনই সেটা দ্বারা অজু ভঙ্গ হবে, যখন সেটা নিজ স্থান থেকে বের হয়ে প্রবাহিত হবে।যেমন যখম থেকে রক্ত,পুঁজ ইত্যাদি নির্গত হওয়া।মূখভর্তি বমি।তবে মূখভর্তি কফ বের হলে অজু ভঙ্গ হবে না।আর যদি রক্ত বা পুঁজের বমি হয়,তাহলে অজু ভঙ্গ হবে যদিও তা মূখ না ভড়ে হোক না কেন।এটা ইমাম আবু হানিফা ও আবু ইউসুফ রাহ এর মাযহাব।তবে এ বিষয়ে ইমাম মুহাম্মদের ভিন্নমত রয়েছে।হাম্বলী মাযহাব মতে প্রস্রাব-পায়খানাতে কমবেশের কোনো ধর্তব্য নেই।তবে শরীরের ভিন্ন স্থান থেকে কোনো নাজাসত বের হলে তখনই অজু ভঙ্গ হবে যখন তা বেশী হবে।অন্যথায় অজু ভঙ্গ হবে না।প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা ব্যতীত অন্য কোথাও থেকে নাজাসত বের হলে অজু ভঙ্গ হবে, এটা অধিকাংশ সাহাবা তাবেঈনদের মত।(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-১৭/১১৩)