আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
205 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ,
তিনটা প্রশ্ন ছিল -

১ঃ পিরিয়ড শেষ হওয়ার পর তুলা দিয়ে চেক করে তারপর গোসল করা টা কি আবশ্যক?  যদি তুলা দিয়ে চেক না করে জাস্ট প্রস্রাবের রঙ সাদা হওয়ার৷ পর গোসল করে ফেলি তাহলে কি সেটা ঠিক হবে?
২ঃ প্রস্রাবের ছিটা বিষয়ক একটি হাদীস আছে, যে যারা প্রস্রাবের ছিটা থেকে পবিত্র থাকবে না তাদেরকে কবরে আযাব দেয়া হবে।  এখন জানতে চাচ্ছিলাম,  প্রস্রাবের ছিটা সহ কি কখনও ই থাকা যাবে না? নাকি শুধু নামাজের সময়ের কথা বুঝানো হয়েছে? ১

৩ঃ স্ত্রী খুব বেশি অসুস্থ থাকলেও  তাবলীগের সফরে  (মাসে ৩ দিন) কি যেতেই হবে?  নাকি স্ত্রীর কাছে থাকাটা বেশি প্রায়োরিটি পাবে?


"এই স্বপ্নটার ব্যাখ্যা  জানতে চাচ্ছিলাম -

আমার এক চাচাতো বোন স্বপ্ন দেখেছে,


আমি নামাজ পড়ছি, আমার পাশে একটা কালো সাপ বসে আছে। আবার,  টেবিলের উপর ফল রাখা। সেখানেও একটা সাপ। ফলগুলো পেঁচিয়ে ধরছিল। আর টেবিলের নিচে একটা সাপের খোসা পড়ে ছিল।

সে এক ই রাতে দুইবার দেখেছে স্বপ্ন টা। স্বপ্নের মধ্যেই আমি নাকি তাকে বলেছিলাম,  কিচ্ছু হবে না। ঘুমিয়ে পড়। তারপর সে স্বপ্নের মাঝেই ঘুমিয়ে গেছে।

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হায়েজ শেষ হওয়ার পর গোসল করা আবশ্যক। 
  
মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:

وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ ۖ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ ۖ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطْهُرْنَ ۖ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللَّـهُ ۚ

“আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতুস্রাব) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অশুচি। সুতরাং তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না (স্ত্রী সহবাস করবে না) যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়। অত:পর যখন উত্তম রূপে পবিত্রতা অর্জন (গোসল) করবে তখন তাদের কাছে গমন কর-যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন।” (সূরা বাকারা: ২২২)

حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعِيدٍ ، ثَنَا أَبُو مَسْعُودٍ ، ح : وَحَدَّثَنَا ابْنُ مُبَشِّرٍ ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ ، قَالَا : نَا أَبُو أُسَامَةَ ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ، عَنْ نَافِعٍ ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ ، قَالَتْ : سَأَلَتِ امْرَأَةٌ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالَتْ : إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلَا أَطْهُرُ ، أَفَأَدَعُ الصَّلَاةَ ؟ فَقَالَ : " لَا وَلَكِنْ دَعِي قَدْرَ الْأَيَّامِ وَاللَّيَالِي الَّتِي كُنْتِ تَحِيضِينَ فِيهَا ، ثُمَّ اغْتَسِلِي وَاسْتَثْفِرِي وَصَلِّي 

আবু সালেহ আবদুর রহমান ইবনে সাঈদ (রহঃ) ... উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করে বলেন, আমি রক্তপ্রদরের রোগিনী, কখনও পাক হই না । আমি কি নামায ছেড়ে দিবো? তিনি বলেন, না, বরং তোমার মাসিক ঋতুর কয়দিন পরিমাণ নামায ছেড়ে দিবে, অতঃপর গোসল করে পট্টি বেঁধে নামায পড়বে।
(সুনানে দারা কুতনি ৮১৯)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এখানে মূল বিষয় হলো হায়েজ বন্ধ হওয়া।
তা আপনি যেভাবেই নিশ্চিত হতে পারেন,সেটিই যথেষ্ট। 
,
(০২)
মূলত এখানে নিষেধাজ্ঞা নামাজ কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি সময়ের জন্য।
তবে সতর্কতামূলক সর্বাবস্থায় পাক থাকাই উচিত। 
,
(০৩)
এক্ষেত্রে স্ত্রীর কাছে থাকাই প্রাধান্য পাবে। 
,
(০৪)
উভয়ের প্রতি নসিহা হল, ফরয ওয়াজিব বিধানকে গুরুত্বসহকারে পালন করবেন।সামর্থ্যানুযায়ী গরীব-মিসকিনকে কিছু দান করবেন।
আর নিম্নোক্ত দুআ পড়বেন।
আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহুরিহিম,ওয়া নাউযুবিকা মিন শুরুরিহিম।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...