জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হায়েজ শেষ হওয়ার পর গোসল করা আবশ্যক।
মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ ۖ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ ۖ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطْهُرْنَ ۖ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللَّـهُ ۚ
“আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতুস্রাব) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অশুচি। সুতরাং তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না (স্ত্রী সহবাস করবে না) যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়। অত:পর যখন উত্তম রূপে পবিত্রতা অর্জন (গোসল) করবে তখন তাদের কাছে গমন কর-যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন।” (সূরা বাকারা: ২২২)
حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعِيدٍ ، ثَنَا أَبُو مَسْعُودٍ ، ح : وَحَدَّثَنَا ابْنُ مُبَشِّرٍ ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ ، قَالَا : نَا أَبُو أُسَامَةَ ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ، عَنْ نَافِعٍ ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ ، قَالَتْ : سَأَلَتِ امْرَأَةٌ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالَتْ : إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلَا أَطْهُرُ ، أَفَأَدَعُ الصَّلَاةَ ؟ فَقَالَ : " لَا وَلَكِنْ دَعِي قَدْرَ الْأَيَّامِ وَاللَّيَالِي الَّتِي كُنْتِ تَحِيضِينَ فِيهَا ، ثُمَّ اغْتَسِلِي وَاسْتَثْفِرِي وَصَلِّي
আবু সালেহ আবদুর রহমান ইবনে সাঈদ (রহঃ) ... উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করে বলেন, আমি রক্তপ্রদরের রোগিনী, কখনও পাক হই না । আমি কি নামায ছেড়ে দিবো? তিনি বলেন, না, বরং তোমার মাসিক ঋতুর কয়দিন পরিমাণ নামায ছেড়ে দিবে, অতঃপর গোসল করে পট্টি বেঁধে নামায পড়বে।
(সুনানে দারা কুতনি ৮১৯)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এখানে মূল বিষয় হলো হায়েজ বন্ধ হওয়া।
তা আপনি যেভাবেই নিশ্চিত হতে পারেন,সেটিই যথেষ্ট।
,
(০২)
মূলত এখানে নিষেধাজ্ঞা নামাজ কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি সময়ের জন্য।
তবে সতর্কতামূলক সর্বাবস্থায় পাক থাকাই উচিত।
,
(০৩)
এক্ষেত্রে স্ত্রীর কাছে থাকাই প্রাধান্য পাবে।
,
(০৪)
উভয়ের প্রতি নসিহা হল, ফরয ওয়াজিব বিধানকে গুরুত্বসহকারে পালন করবেন।সামর্থ্যানুযায়ী গরীব-মিসকিনকে কিছু দান করবেন।
আর নিম্নোক্ত দুআ পড়বেন।
আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহুরিহিম,ওয়া নাউযুবিকা মিন শুরুরিহিম।
আরো জানুনঃ