জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
হেদায়া কিতাবে রয়েছে
– “অযু ভেঙ্গে যাওয়ার অন্যতম একটি কারন হলো রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া।” (হেদায়া-১/১০)
হাদীস শরীফে এসেছে-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন
আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ،
وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ
“শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না।” (সুনানে কুবরা লিল
বায়হাকী ৫৬৮)
অন্য এক হাদীসে এসেছে
-
হযরত আয়েশা রাযি.
থেকে বর্ণিত । রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ أَصَابَهُ قَيْءٌ أَوْ رُعَافٌ
أَوْ قَلَسٌ أَوْ مَذْيٌ، فَلْيَنْصَرِفْ، فَلْيَتَوَضَّأْ
যে ব্যক্তির বমি হয়, অথবা নাক দিয়ে রক্ত ঝরে, বা মজি বের হয়, তাহলে ফিরে গিয়ে অযু
করে নিবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ ১২২১)
★শরীরে বিভিন্ন কারনে ফোসকা পড়ে, এই পানিও অপবিত্র, যদি সেটি গড়িয়ে পড়ে,তাহলে অযু ভেঙ্গে যাবে।
যদি কাপড়ে এক দিরহাম
সমপরিমাণ লাগে,তাহলে সেই কাপড়ে নামাজ হবে
না।
তার চেয়ে কম লাগলে
নামাজ হয়ে যাবে
قولہ کدم وقیح اشارۃ الی ان ماء الصدید ناقض
کماء الثدی والسرۃ والاذن اذا کان لمرض علی الصحیح ۔(حاشیۃ الطحاوی علی مراقی
الفلاح ص ۴۸)
সারমর্মঃ
ফোড়া বা ক্ষতস্থানের
রস,অযু ভঙ্গকারী।
যেমন স্তন,নাভী,কান থেকে যদি অসুস্থতার
কারনে পানি বের হয়,সেটিও নাপাক।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
১. শরীরের ফোসকা বা
পানি গোটা গলালে যে পানি বের হয় তা নাপাক।
আরো বিস্তারিত জানুনঃ
https://ifatwa.info/12828/
২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে
কয়েকবার গলানোর মাধ্যমে যদি ফোসকার গলানো সব পানি এই পরিমান হওয়ার সম্ভবনা থাকে যে, সব পানি একবারে বের হলে এবং তা না মুছলে ক্ষতস্থান
হতে গড়িয়ে পড়তো তাহলে ওযু ভেঙে যাবে অন্যথায়
নয়।