আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
453 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
---
আমি একজন ব্যংক কর্মকর্তার  সন্তানকে পড়ানোর অফার পেয়েছি । সেই ব্যক্তির  ইনকাম সোর্স ব্যংক  হতে প্রাপ্ত অর্থ।
এখন প্রশ্ন হল রেম্যুনারেশন হিসেবে যে টাকা পাব তা কি জায়েজ হবে। সে বাসাায় কিিছু খাওয়া কি উচিত হবে? অন্য কোন ইনকাম সোররস আছে কিনা জাান নাই।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/7863 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।
عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " أيها الناس، إن الله طيب لا يقبل إلا طيبا، وإن الله أمر المؤمنين بما أمر به المرسلين، فقال: {يا أيها الرسل كلوا من الطيبات واعملوا صالحا، إني بما تعملون عليم} [المؤمنون: ٥١] وقال: {يا أيها الذين آمنوا كلوا من طيبات ما رزقناكم} [البقرة: ١٧٢] ثم ذكر الرجل يطيل السفر أشعث أغبر، يمد يديه إلى السماء، يا رب، يا رب، ومطعمه حرام، ومشربه حرام، وملبسه حرام، وغذي بالحرام، فأنى يستجاب لذلك؟ "
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)
তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?” (সহীহ মুসলিম-১০১৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি বিনিময় হিসেবে ব্যাংক কর্মকর্তার ছেলে মেয়েকে পড়াতে পারবেন। তবে সেই ঘরের চা বিস্কুট, দাওয়াত কিছুই খেতে পারবেন না। খেলে সেই পরিমাণ টাকা সদকাহ করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
মাসিক আলকাউসারে এরকম উপার্জন হারাম বলা হয়েছে। আবার আপনারা হালাল বলছেন। দুই রকম উত্তর কেন?
আর কেউ যদি টাকা না নিয়ে বিনিময় হিসেবে খাবার গ্রহণ করে। তবে সে খাবার কী তার জন্য হালাল হবে?

১৮৬১. প্রশ্ন

সুদী ব্যাংকের একজন এমডির কয়েক সন্তানকে আমি পড়াই। এতে আমার মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম হয়। যা দ্বারা আমার সংসার চলে। এছাড়া ইনকামের আমার আর কোনো ব্যবস্থা নেই। আমার জানা মতে তার ঐ সুদী চাকরি ছাড়া ইনকামের আর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। জানার বিষয় যে, আমার জন্য কি ঐ টিউশনির টাকা বৈধ হবে?

উত্তর

প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী ঐ ব্যক্তির আয় যেহেতু হারাম, আর আপনি সে সম্পর্কে অবগত তাই তার হারাম উপার্জন থেকে দেওয়া বেতন আপনার জন্য গ্রহণ করা বৈধ হবে না। ঐ ব্যক্তির কর্তব্য, হালাল সম্পদ দ্বারা আপনার বেতন আদায় করা। যদি এ ব্যবস্থা না হয় তাহলে আপনি অন্য চাকরি খোঁজ করতে থাকেন এবং আল্লাহর কাছে ইসি-গফার করতে থাকেন। মোটামুটি চলার ব্যবস্থা হলেই এটা ছেড়ে দিতে হবে।

আহকামুল মালিল হারাম পৃ. ৩১৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৬৩; আযযাখীরা ১৩/৩১৭; আলবায়ান ওয়াত তাহসীল ১৮/৫১৪; বুহুছ ফী কাযায়া ফিকহিয়্যাহ মুআছিরা পৃ. ৪২৯; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৫২; আলবাহরুর রায়েক ৮/২০১; রদ্দুল মুহতার ৪/১৯৩

by (597,330 points)
মোটা মোটি চলার ব্যবস্থা হলেই ছেড়ে দিবেন।তার আগে জায়েয কেন?
by (597,330 points)
সরকার সুদি লোনদেনে লিপ্ত, বিভিন্ন কম্পানি লিপ্ত তাহলে তাদের ওখানেও চাকুরী হারাম হবে।তাই কি?
by
আল্লাহই ভাল জানেন।। এই বিষয়টা নিয়ে আমি কনফিউজড।।  হারাম উপার্জনকারীর সন্তানকে যদি কেউ না পড়ায়, কোন স্কুলে না নেয়, তার বাড়িতে কাজ না করে তাহলে যে সমাজে চলবে কী করে?? এটা কী এই জন্য নিষেধ করা হয়েছে যে সামাজিক চাপে সে হারাম ছেড়ে দিবে? 
বিষয়টা ক্লিয়ালি কোথাও জবাব পাচ্ছি না। বড় এক জামিয়ার মুফতি সাহেবও আমাকে হারাম বলে দিয়েছেন।
by (597,330 points)
সামাজিক চাপে হারাম ছাড়বে।তাহলে সরকারি চাকুরী কেউ করবেনা
by (597,330 points)
এ বিষয়ে আপনার সাথে বিস্তারিত আলাপ করবো
by
জ্বী। বিস্তারিত জানালে আমরা উপকৃত হবো। 
জাজাকাল্লাহু খইর।।
by (597,330 points)
আগামিকাল কল দেবো।আপনি নাম্বার দেন
by
01754421032
Ata amar number.

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...