ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন, বাংলা, পৃষ্ঠা-২৮৩ এ বর্ণিত রয়েছে --
মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানোর সুন্নতি পদ্ধতি: গোসলের সময় মৃত ব্যক্তিকে চৌকি বা গোসলের খাটিয়ার উপর শোয়াতে হয়। তারপর পরনের কাপড় সরিয়ে পুরুষ হলে নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত একটা কাপড় রাখতে হয়। এরপর হাতে কাপড় জড়িয়ে পেশাব-পায়খানার জায়গা পরিষ্কার করে নিতে হয়। এর অজু করাতে হয়। প্রথমে সমূদয় মুখমণ্ডল, পরে কনুই পর্যন্ত দুই হাত, তারপর মাথা মাসেহ্ করতে, অবশেষে দুই পা ধোয়াতে হয়। নাকে ও মুখে পানি দেয়ার দরকার নেই। তুলা ভিজিয়ে দাঁতের মাড়ি এবং নাকের ভেতর মুছে দেয় জায়িজ। গোসল ফরজ অবস্থায় এবং হায়েজ-নেফাস অবস্থায় মারা গেলে মুখে ও নাকে পানি পৌঁছানো জরুরি। পানি যেন ভেতরে না যায় সেজন্য নাক, মুখ ও কানে তুলা দিতে হয়। এরপর ধৌত করতে হয়। সাবান বা এ জাতীয় জিনিস ব্যবহার করা যায়। এরপর মৃত ব্যক্তিকে বাম কাত করে শুইয়ে বরই পাতা দিয়ে অল্প গরম করা পানি মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢালতে হয় এমনভাবে ডান কাত করে তিনবার পানি ঢালতে হয়। এরপর মৃত ব্যক্তিকে কোনো কিছুর উপর ঠেস দিয়ে বসিয়ে আস্তে আস্তে পেটে চাপ দিতে হবে। কোনো মল বের হলে তা পরিষ্কার করতে হবে। এজন্য পুনরায় অজু ও গোসল করানোর দরকার হবে না। পরে বাম কাত করে শুইয়ে কর্পূর মেশানো পানি ঢালতে হবে তিনবার। সবশেষে একটি কাপড় দিয়ে সারা শরীর মুছে দিতে হয়। মৃতকে গোসল দেয়ার এটাই মাসনূন বা সুন্নাতি পদ্ধতি। [দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন, বাংলা, পৃষ্ঠা-২৮৪]
মোটকথাঃ-
মৃত ব্যক্তিকে গোসল প্রদানের করার জন্য প্রথমে ঢেলা-কুলুপ ব্যবহার করতে হবে এবং এরজন্য পেঠে হালকা চাপ দিতে হবে। তারপর অজু করিয়ে মৃত ব্যক্তির উপর বরই পাতা সম্ভলিত মৃদু গরম পানি দিতে হবে। মাতা থেকে শুর করে সমস্ত শরীর ধৌত করতে হবে। হাত পা খিলাল করতে হবে। শরীরের সমস্ত অঙ্গে পানি পৌছিয়ে দিতে হবে। তারপর খুশবু মাখিয়ে কাপনের কাপড় পড়াতে হবে। প্রথমে
(২) একজন অবিবাহিত মেয়ে মৃত নারীকে গোসল দিতে পারবে। এতে কোনো সমস্যা নাই।