জবাবঃ-
আল্লামা হাসক্বাফী রাহ লিখেন,
(لا) تجب (بسماعه من الصدى والطير)
পাহাড় গাঁ থেকে প্রতিধ্বনির মাধ্যমে বা পাখির মূখ থেকে যদি তেলাওয়াতে সেজদা ভেসে আসে,এবং কেউ শ্রবণ করে নেয়,তাহলে সেজদায়ে তেলাওয়াত ওয়াজিব হবে না।
ইবনে আবেদীন শামী রাহ উক্ত ইবারতের ব্যখ্যায় লিখেন,
(قوله من الصدى) هو ما يجيبك مثل صوتك في الجبال والصحاري ونحوهما كما في الصحاح.
(قوله والطير) هو الأصح زيلعي وغيره، وقيل تجب. وفي الحجة هو الصحيح تتارخانية.
قلت: والأكثر على تصحيح الأول وبه جزم في نور الإيضاح
সাদা অর্থা পাহাড়ের গাঁ ঘেষে যে প্রতিধ্বনি সৃষ্টি হয় সেটার নামই হল,সাদা।পাখির কন্ঠে শুনা গেলে ওয়াজিব হবে কি না? এসম্পর্কে মাতবিরোধ রয়েছে,তবে অধিকাংশের মতামতের বিত্তিতে ওয়াজিব হবে না।(রদ্দুল মুহতার-২/১০৮)
টিভিতে যে আজান দেয়া হয়,সেটা রেকর্ড আযান সম্প্রচার করা হয়।সুতরাং ঐ আযান নামাযের জন্য যথেষ্ট হবে না।এবং সেটা জবাব প্রদানের ও কোনো ধর্তব্য নেই।আরো রয়েছে-(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/৩০৯,জাদীদ মাসাঈল-১১৬)