জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এখানে দুটি মাসয়ালা।
এক, নামাজের ভিতর এ ধরনের অল্প রক্ত বের হওয়ার দ্বারা আপনার নামাজ হবে কিনা?
দুই, উক্ত কাপড়ে নামাজ হবে কিনা?
শরীয়তের বিধান মতে অযু ভেঙ্গে যাওয়ার অন্যতম একটি কারন হলো রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। (হেদায়া-১/১০)
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ
শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)
أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا رَعَفَ، انْصَرَفَ فَتَوَضَّأَ
আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি.-এর যখন নাক দিয়ে রক্ত ঝরতো, তখন তিনি ফিরে গিয়ে অযু করে নিতেন। (মুয়াত্তা মালিক ১১০)
ثم المراد بالخروج من السبيلين مجرد الظهور وفي غيرهما عين السيلان ولو بالقوة، لما قالوا: لو مسح الدم كلما خرج ولو تركه لسال نقض وإلا لا
যার সারমর্ম হলো কেউ রক্তকে বের হওয়া মাত্রই যখমের মুখ থেকে মুছে নেয়,যদি উক্ত ছেড়ে দেয়া হত,তবে প্রবাহিত হত,এমন প্রকারের যখমের রক্তের কারণে অজু ভেঙ্গে যাবে।নতুবা অজু ভঙ্গ হবে না।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ১/১৩৪)
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু রক্ত বের হয়ে গড়িয়ে পরেনি,তাই অযু ভেঙ্গে যাবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
২য় নং মাসয়ালা হলো সেই রক্ত যে আপনার কাপড়ে লেগেছে,এটি কি এক দিরহাম এর কম হবে নাকি বেশি হবে?
যদি এক দিরহামের কম হয়,তাহলে সেই কাপড়ে নামাজ হবে।
আর যদি এল দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি হয়,তাহলে সেই কাপড়ে নামাজ হবেনা।
আরো জানুনঃ