আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
555 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (10 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম,

১. স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে তোর মত মেয়ের সাথে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো তাহলে কি তালাক হবে?

২. স্ত্রী যদি বলে আমি তোমার বাসায় গিয়ে সবার সামনে তোমাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলবো আর স্বামী যদি বলে আলহামদুলিল্লাহ বলিও, তাহলে কি তালাক হবে?
৩. এর আগেও ঝগড়া করে স্ত্রীকে বলেছিল ডিভোর্স লেটার পাঠাই দিও। যদিও তখন নিয়ত ছিলো না। নিয়ত ছিলো ভয় দেখানো। আর নিজে ডিভোর্স দিবে বলে নাই। স্ত্রীকে পাঠাইতে বলছে।

যদি তালাক হয় বা ৩ তালাক হয়ে যায় তাহলে কিভাবে আবার তারা মিলিত হবে?
closed

1 Answer

+1 vote
by (564,660 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক একটি নিকৃষ্ট কাজ। প্রয়োজনের কারণেই তা কেবল বৈধ হয়।
তালাক নিয়ে দুষ্টামি করা কিংবা ভয় দেখানো কোনো অবস্থাতেই উচিৎ নয়।

তালাক অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়, তাই এজাতীয় শব্দ যেকোনোভাবে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত। কেননা, তালাক-সংক্রান্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَلا تَتَّخِذُوا آيَاتِ اللَّهِ هُزُواً
আর আল্লাহর নির্দেশকে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত করো না। (সূরা বাকারা ২৩১)

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا مُعَرِّفٌ، عَنْ مُحَارِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا أَحَلَّ اللَّهُ شَيْئًا أَبْغَضَ إِلَيْهِ مِنَ الطَّلاَقِ " .

মুহারিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহর নিকট হালাল বিষয়ের মধ্যে তালাকের চেয়ে অধিক ঘৃণিত কিছু নেই। [আবু দাউদ ২১৭৭]

অন্য হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}
,
(০১)
উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।
,
(০২)
স্ত্রী তালাক প্রদানের ক্ষমাত পায়না।
তবে স্বামী ক্ষমতা দিলে কেবল সেই ক্ষমতাবলে নিজের নফসের উপর তথা নিজেকে নিজে তালাক দিতে পারে।
,
উল্লেখিত স্ত্রী ছুরতে স্ত্রী যদিও তালাক প্রদানের ক্ষমতা পেয়ে থাকুক,স্ত্রীর এহেন বাক্য বলার দ্বারা তালাক পতিত হবেনা।
,
(০৩)
স্বামী স্ত্রীকে যদি বলে যে  ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিও।
তাহলে এতে তালাক হবেনা।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই যেহেতু তালাক হবেনা।
তাই তারা এখনো স্বামী স্ত্রী হিসেবেই আছে।
শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে তাদের ঘর সংসারে কোনো সমস্যা নেই।   
তারা কোনো কিছু ছাড়াই মিলিত হতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...