জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
তালাক একটি নিকৃষ্ট কাজ। প্রয়োজনের কারণেই তা কেবল বৈধ হয়।
তালাক নিয়ে দুষ্টামি করা কিংবা ভয় দেখানো কোনো অবস্থাতেই উচিৎ নয়।
তালাক অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়, তাই এজাতীয় শব্দ যেকোনোভাবে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত। কেননা, তালাক-সংক্রান্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَلا تَتَّخِذُوا آيَاتِ اللَّهِ هُزُواً
আর আল্লাহর নির্দেশকে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত করো না। (সূরা বাকারা ২৩১)
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا مُعَرِّفٌ، عَنْ مُحَارِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا أَحَلَّ اللَّهُ شَيْئًا أَبْغَضَ إِلَيْهِ مِنَ الطَّلاَقِ " .
মুহারিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহর নিকট হালাল বিষয়ের মধ্যে তালাকের চেয়ে অধিক ঘৃণিত কিছু নেই। [আবু দাউদ ২১৭৭]
অন্য হাদীসে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}
,
(০১)
উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।
,
(০২)
স্ত্রী তালাক প্রদানের ক্ষমাত পায়না।
তবে স্বামী ক্ষমতা দিলে কেবল সেই ক্ষমতাবলে নিজের নফসের উপর তথা নিজেকে নিজে তালাক দিতে পারে।
,
উল্লেখিত স্ত্রী ছুরতে স্ত্রী যদিও তালাক প্রদানের ক্ষমতা পেয়ে থাকুক,স্ত্রীর এহেন বাক্য বলার দ্বারা তালাক পতিত হবেনা।
,
(০৩)
স্বামী স্ত্রীকে যদি বলে যে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিও।
তাহলে এতে তালাক হবেনা।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই যেহেতু তালাক হবেনা।
তাই তারা এখনো স্বামী স্ত্রী হিসেবেই আছে।
শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে তাদের ঘর সংসারে কোনো সমস্যা নেই।
তারা কোনো কিছু ছাড়াই মিলিত হতে পারবে।