আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
216 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
আসসালামুয়ালাইকুম

আলহামদুলিল্লাহ্ আমরা কয়েকজন মিলে একটি জায়গা কিনেছি। বাড়ি করার প্লান আছে। বাড়ি করতে মাথাপিছু একেকজন অংশীদারের বড় অঙ্কের টাকা লাগবে। যেহেতু অনেক টাকার ব্যাপার, আর সবার পক্ষে এতো টাকা একসাথে ম্যানেজ করা সম্ভব না। তাই কেউ যদি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে তার অংশের টাকা পরিশোধ করতে চায় তাহলে কি জায়েজ হবে। কারন ব্যাংক লোনের সাথে সুদের একটা সম্পর্ক আছে। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে-

১।  অংশীদারদের মাঝে কেউ ব্যাংক লোন নিয়ে তার অংশের টাকা পরিশোধ করলে কি সবাই সুদের গুনার ভাগিদার হবে।

২। কেউ লোনের টাকা দিয়ে ফেললে তাদের সাথে অংশীদারিত্ত্ব কন্টনিঊ করা যাবে কিনা।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান মতে সুদ গ্রহণ, সুদ প্রদান উভয়ই লানতপ্রাপ্ত গোনাহ। তাই এ ভিত্তিতে লোন নেওয়া,তা দিয়ে ব্যবসা করা,অন্যকে এ থেকে লোন দেওয়া জায়েজ নয়। হারাম। 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন  

الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ [٢:٢٧٥

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}

হাদীস শরীফে এসেছে  
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
ব্যাংক লোন হারাম।কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আসার পর সেই লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা খরিদ বা তৈরী করা হয়েছিলো,সেটা হালালই থাকছে।যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো।

ব্যাংক লোন সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুন 
,

(০১)
যদি উক্ত বাড়ির তার অংশ স্পষ্ট আকারে পুরোপুরিভাবে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়,যেমন ২য় তলা তার,বা অমুক তলার অমুক ইউনিট তার,তাহলে সবাই এ গুনাহের ভাগীদার হবেননা।
,
তবে অংশ এরকম ভাবে স্পষ্ট আকারে নির্দিষ্ট না করলে সকলেই গুনাহের ভাগীদার হবেন।
,
(০২)
উল্লেখিত ১ম ছুরতে তাকে নিয়ে কন্টিনিউ করা যাবে,২য় ছুরতে নয়।
,
তবে সতর্কতামূলক ১ম ছুরতেও তাকে নিয়ে কন্টিনিউ না করাই তাকওয়ার দাবী। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (31 points)
হুজুর দেখা যায়  সবার টাকা একসাথে করে সম্পূণ বাড়ি নির্মাণ করা হয়। এতে অনেকে লোন নিয়ে বাড়ি করে, অনেকে নিজ টাকায় বাড়ি করে। কিন্তু সবাই একসাথে টাকা একজন কন্টেকটারের কাছে দিয়ে দেয় তারপর সবার টাকার মিশ্রনে সম্পূর্ণ বাড়ি তৈরি হয়।অার বাড়ি তৈরির পর লটারির মাধ্যমে ফ্লাট ভাগ হয়।  এখন যে হালাল টাকা দেয় তারও ত হারাম অংশ পড়তে পারে অাবার যে হারাম টাকা দেয় সে হালাল অংশ পড়তে পারে। তার ফলে কি হালাল টাকা যে বাড়িতে দিল তার সেই বাড়িতে থাকা ও সেই বাড়ি ভাড়া দিয়ে প্রাপ্ত মুনাফা সবই হারাম হবে 

by (675,600 points)
হালাল টাকা যে বাড়িতে দিল তার সেই বাড়িতে থাকা ও সেই বাড়ি ভাড়া দিয়ে প্রাপ্ত মুনাফা সবই হালাল হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...