জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
والمراد بأول وقت الصلاة من حين دخول وقتها.
في الشرح الممتع للشيخ ابن عثيمين: الصلاة على وقتها ـ أي: من حين دخول وقتها
সারমর্মঃ
নামাজের আওয়াল ওয়াক্ত দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ওয়াক্ত দাখিল হওয়ার পর পরই নামাজ আদায় করা।
শায়েখ ইবনে উসাইমিন রহঃ এমনটিই উল্লেখ করেছেন।
,
আউয়াল ওয়াক্তে ছালাত আদায়ের গুরুত্ব :
আল্লাহ তা‘আলা ছালাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে বলেন,
إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ كِتَابًا مَوْقُوْتًا
‘নিশ্চয় মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ছালাত ফরয করা হয়েছে’ (নিসা ১০৩)।
عَنْ أُمِّ فَرْوَةَ قَالَتْ سُئِلَ رَسُوْلُ اللهِ أَىُّ الأَعْمَالِ أَفْضَلُ قَالَ الصَّلاَةُ فِىْ أَوَّلِ وَقْتِهَا.
উম্মু ফারওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আমল সমূহের মধ্যে কোন্ আমল সর্বাধিক উত্তম? তিনি উত্তরে বলেন, আউয়াল ওয়াক্তে ছালাত আদায় করা।
ছহীহ আবুদাঊদ হা/৪২৬, ১/৬১ পৃঃ; তিরমিযী হা/১৭০, ১/৪২ পৃঃ; সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/৬০৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৫৯, ২/১৭৯ পৃঃ।
,
(০২)
এতে গুনাহ হবেনা।
তবে মোবাইলে এলার্ম ইত্যাদির মাধ্যমে মুস্তাহাব ওয়াক্তে নামাজ আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
প্রায়ই এমন হলে পুরুষের ক্ষেত্রে জামা'আত ছেড়ে দেওয়ার গুনাহ হবে।
,
(০৩)
যেকোনো সুরা পড়লেই হবে।
তবে ইচ্ছাকৃতভাবে ধারাবাহিকতা মেইনটেইন না করে কিরাআত পড়া মাকরুহ।
তাই এক সুরা পড়ার পর তার আগের দিকের সুরা ইচ্ছাকৃতভাবে পড়বেনা।
,
অনিচ্ছায় এমনটি হলে কোনো সমস্যা নেই।
,
(০৪)
আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতে হবে।
أعوذ بالله من الشيطان الرجيم
পড়বে,বামদিকে তিনবার থুথু দিবে।
কাহারো কাছে স্বপ্নের বিষয় বলবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৫)
সে যেহেতু ফরজ বিধান মানে,এক্ষেত্রে তার কোনদিকে আমলের ত্রুটি রয়েছে,সে সংক্রান্ত বই গুলো গিফট করতে পারেন।
আপনি আহকামে জিন্দেগী, আহকামে নীসা,ইসলামী জিন্দেগী বই দিতে পারেন।
