জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন,
إِذَا صَلَّتِ الْمَرْأَةُ خَمْسَهَا، وَصَامَتْ شَهْرَهَا، وَحَصَّنَتْ فَرْجَهَا، وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا، دَخَلَتْ مِنْ أَيِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ شَاءَتْ.
‘‘রমণী তার পাঁচ ওয়াক্তের নামায পড়লে, রমযানের রোযা পালন করলে, ইজ্জতের হিফাযত করলে ও স্বামীর তাবেদারী করলে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছামত প্রবেশ করতে পারবে।
خَيْرُ النِّساءِ الَّتِي تَسُرُّهُ إذا نَظَرَ وَتُطِيعُهُ إذا أمَرَ ولا تُخالِفُهُ في نَفْسِها ولا مالِها بِما يَكْرَهُ.
‘‘শ্রেষ্ঠ রমণী সেই, যার প্রতি তার স্বামী দৃকপাত করলে সে তাকে খোশ করে দেয়, কোন আদেশ করলে তা পালন করে এবং তার জীবন ও সম্পদে স্বামীর অপছন্দনীয় বিরুদ্ধাচরণ করে না।’’
স্ত্রীর নিকট স্বামীর মর্যাদা বিরাট। এই মর্যাদার কথা ইসলাম নিজে ঘোষণা করেছে। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, ‘‘স্ত্রীর জন্য স্বামী তার জান্নাত অথবা জাহান্নাম।’’
لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا.
‘‘যদি আমি কাউকে কারো জন্য সিজদা করতে আদেশ করতাম, তাহলে নারীকে আদেশ করতাম, সে যেন তার স্বামীকে সিজদা করে।’’
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সমস্যা থেকে উত্তরনের জন্য স্বামী যে কাজটি আপনাকে করতে বলেছে,এটি পালন করুন।
ইনশাআল্লাহ সমাধা৷ হবে।
এটি স্রষ্টার আইনের খেলাফ নয়।
,
এহেনে পরিস্থিতিতে স্বামীর এই বৈধ আদেশ না মেনে তার আনুগত্য না করলে আপনার গুনাহ হবে।
,
(০২)
এক্ষেত্রে চার মাসের আগেই স্ত্রীর কাছে আসা স্বামীর দায়িত্ব।
নতুবা স্ত্রীর হক আদায় না করার গুনাহ হবে।
স্ত্রী নিজেকে নিজে হেফাজতে রাখতে পারলে গুনাহগারী হবেনা।
,
যদি স্ত্রী নিজেকে হেফাজতে রাখে,স্বামীকে এই ছুরতে চার মাস বা তার চেয়েও বেশি সময় ধরে বাহিরে থাকার অনুমতি দেয়,তাহলে কারো গুনাহ হবেনা।