আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
378 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
reshown by
আসসালামুআলাইকুম,
আমি প্রায় কয়েক মাস ধরে একটা ঘ্রাণ পাই।বলে রাখি ঘ্রাণ টা সুন্দর অনেকটা আতর টাইপ হয়তো । ঘ্রানটা যখনই পাই তা আমার ডান অর বাম যেকোনো হাতে লেগে থাকবে। আর এটা অনেক ডিপ। মানে যতটুক হাতে লাগে ওই স্থানে পানি দিলেও যায় না।তবে কিছু সময় পর আপনা আপনি আস্তে আস্তে হাল্কা হয়ে চলে যায়। আমার সাথে এসব কখনো আগে ঘটে নি। আবার মাঝে মাঝে মনে হত কেউ ওই সেন্ট লাগিয়ে আসে পাশে আছে,,  আমার মেজো বোনের হাতে ও সেইম ঘ্রানটা লেগে থাকে মাঝে মাঝে, তবে অর তুলনায় আমার ক্ষেত্রে এটা বেশি।
শায়েখ, এমতাবস্থায় আমার করনিয় কি?  আর এমন টা হবার কারণ কি হতে পারে?
আর এক হুজুর আছেন অনেক আমল করেন মাশাআল্লাহ আমাদের পরিচিত। উনাকে বল্লে উনি দুয়া পড়ে কালো সুতা/তাগা তে গিট গিট দিয়ে দেন আর বলেন ডান হাতে বাধতে।  এটা কি বাধা যাবে(তাবিজ নয়) ??? উনি তাবিজ দেন নি, তবে পানি পড়া,  সরিসার তেল পড়া আর এই সুতা দিয়েছেন...
আমি ওটা ২দিন এর মতো হলো ব্যবহার করতেছি তবে এটা জায়েজ হচ্ছে কিনা এজন্য প্রশ্ন করে ফেললাম। এখন দেখতেছি ঘ্রানটা আমার ডান হাতে একটুও লাগে না তবে বাম হাতে ঠিকই লাগছে তবে আগের মত খুব বেশি না, হাল্কা ভাবে,, আর আশে পাশে মনে হয় একটু বেশি ঘ্রান এখন টের পাই তবে তা  হালকা ধরনের । ইভেন আমি যখন এই টেক্সট গুলো লিখতিছি তখন অ একটু পর পর হাল্কা ভাবে সেন্টটা নাকে পাচ্ছি।
আরেকটা কথা বলে রাখি, আমি দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছি, বিশেষ করে আমার মুখটা, আমি খুব বেশি হেলদি ছিলাম না তবে এই বছর অনেক বেশি শুকিয়েছি যেটা চোখে পড়ার মতন। এটা বলেছি কারন এটাও হয়তো বিষয়টার সাথে রিলেটেড হলেও হতে পারে। আমার জানা নেই,,

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ
    
عَنْ رُوَيْفِعَ بْنَ ثَابِتٍ يَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَا رُوَيْفِعُ لَعَلَّ الْحَيَاةَ سَتَطُولُ بِكَ بَعْدِي فَأَخْبِرْ النَّاسَ أَنَّهُ مَنْ عَقَدَ لِحْيَتَهُ أَوْ تَقَلَّدَ وَتَرًا أَوْ اسْتَنْجَى بِرَجِيعِ دَابَّةٍ أَوْ عَظْمٍ فَإِنَّ مُحَمَّدًا بَرِيءٌ مِنْهُ إِنَّ الرُّقَى وَالتَّمَائِمَ وَالتِّوَلَةَ شِرْكٌ-

রুওয়াইফী‘আ ইবনু ছাবিত (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বললেন, ‘হে রুওয়াইফা! হয়তো তুমি আমার পরেও অনেক দিন বেঁচে থাকবে। সুতরাং তুমি লোকদেরকে এ কথা বলে দিও যে, যে ব্যক্তি দাড়িতে গিট দিল অথবা তা‘বীয জাতীয় বেল্ট বা সুতা (ছেলে-মেয়ের বা প্রাণীর গলায়) পরাল কিংবা চতুষ্পদ জন্তুর গোবর অথবা হাড় দিয়ে ইসতেঞ্জা করল, নিশ্চয়ই তার সাথে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর কোন সম্পর্ক নেই’ (আবূদাঊদ, মিশকাত হা/৩৫১ সনদ ছহীহ, বাংলা মিশকাত ২য় খন্ড, হা/৩২৪ ‘পেশাব-পায়খানার শিষ্টাচার’ অনুচ্ছেদ)।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,    
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি উক্ত সুতা বাধবেননা।
,
তবে উক্ত তৈল আর পানিতে যদি কুফরী বা নাজায়েজ কোন কিছু না বলা হয়,বরং বৈধ। কালাম বলে ফুক দেওয়া হয়,সেক্ষেত্রে সেটি আকীদা বিশুদ্ধ রেখে ব্যবহার করা যাবে।
,
আপনি আপনার স্বাস্থের অবনতির কারনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
তাতে কাজ না হলে কোনো বৈধ রুকইয়াহ কারীর সন্ধান নিয়ে চিকিৎসা নিন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (7 points)
edited by

Tobe ai smell er jnno ki krte pari ba ata kno hcche??? R a theke porittran er upay ki??  
Asha kri 2 ta ans e diben. 

Jazakallahu khoir

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...