জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মৃত ব্যক্তির জন্য খতমে ইউনুস পড়া হয়না।
এটি সাধারণত অসুস্থ ব্যাক্তির জন্য পড়া হয়।
ঈসালে ছওয়াবের উদ্দেশ্যে বৈধ পদ্ধতিতে যেকোনো খতম করা জায়েজ আছে।
(০২)
হ্যাঁ, এটি করা যাবে।
(০৩)
হাদীসে রাসূল সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” إِذَا مَاتَ الْإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلَّا مِنْ ثَلَاثٍ: إِلَّا مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ، أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ، أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, ব্যক্তি যখন মারা যায়, তখন তার নেক আমল করার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি পথ ছাড়া। একটি হল, সদকায়ে জারিয়া, দ্বিতীয় হল ইলম, যদ্বারা মানুষ উপকার পায়, এবং তৃতীয় হল, নেক সন্তানের দুআ। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৮৪৪, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৮৮০, মুসলিম, হাদীস নং-১৬৩১]
,
★সুতরাং আপনারা ছদকায়ে জারিয়াহ করতে পারে।
ঈসালে ছওয়াব করতে পারেন।
ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে যেসব কাজ করা যায়ঃ
১
মৃতের নামে সদকা করা।
২
কুরবানী করা।
৩
মৃতের জন্য কুরআন তিলাওয়াত করা।
৪
মৃতের জন্য দুআ করা।
৫
ইস্তিগফার করা।
৬
হজ্ব করা।
ইত্যাদি পূণ্যের কাজ করে মৃত ব্যক্তির জন্য ঈসালে সওয়াব করা যায়। যা কুরআন ও হাদীসের মাধ্যমে সুষ্পষ্টরূপে প্রমাণিত।
আরো জানুনঃ
শরীয়তের বিধান হলো কুরআন কারীম তেলাওয়াত করে বা ছদকাহ করে ঈসালে ছওয়াব করা যাবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১/৩৭৫)
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৪)
এটি জায়েজ নেই।
টাকা আদান প্রদান সবই নাজায়েজ, আর নাজায়েজ কাজের মাধ্যমে যখন তার নিজেরই ছওয়াব হয়না,তখন কোনো ঈসালে ছওয়াবও হয়না।
,
(০৫)
আবশ্যকীয় মনে করে করা যাবেনা।
তাহলে বিদ'আত হবেনা।