হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ أَتى حَائِضًا أَوْ امْرَأَةً فِىْ دُبُرِهَا أَوْ كَاهِنًا فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلى مُحَمَّدٍﷺ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَةَ وَالدَّارِمِيُّ وَفِى رِوَايَتِهِمَا فَصَدَّقَه بِمَا يقُولُ فَقَدْ كَفَرَ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক ঋতুবতী অবস্থায় যৌনসঙ্গম করেছে অথবা কোন স্ত্রীলোকের মলদ্বার দিয়ে যৌনসঙ্গম করেছে অথবা কোন গণকের কাছে গিয়েছে, সে লোক মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তার প্রতি অবিশ্বাস করেছে।
কিন্তু শেষের দু’জন ইবনু মাজাহ ও দারিমীর বর্ণনায় রয়েছে, যে ব্যক্তি গণকের কাছে গিয়েছে, সে যা বলেছে তা সত্য বলে বিশ্বাস করেছে, সে কুফরী করেছে (অর্থাৎ- কাফির হয়ে গেছে)।
(সহীহ : তিরমিযী ১৩৫, ইবনু মাজাহ্ ৬৩৯, সহীহুল জামি‘ ৫৯৪২,মিশকাত ৫৫১ ।)
হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ
এ হাদীস থেকে যে শিক্ষা পাওয়া যায় তা’ হলো, ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে অথবা তার মলদ্বার দিয়ে যৌনসঙ্গম অনুমোদিত নয়। তেমনিভাবে গণকের গণনায় বিশ্বাস স্থাপনও নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি এটা অমান্য করে সে প্রকৃতপক্ষে ইসলামে অবিশ্বাস করে।
★কোন কোন ‘মুহাদ্দিসিনে কেরামের মতে এ হাদীসে হুকুম ধমকের উপর ব্যবহার করে। কারণ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি হায়য স্ত্রীর সাথে মিলন করলো, সে যেন এক দিনার সদাক্বাহ্ (সাদাকা) করে। যদি তার সাথে মিলন করা কুফরী হতো, তবে কাফফারাহ্ দেয়ার আদেশ করতেন না। তার অর্থ এমন নয় যে, ঋতুবতীর সাথে সঙ্গম জায়িয। কেউ করে ফেললে এটা তার কাফফারাহ্।
★কিছু ইসলামী স্কলার গন বলেন, এ হাদীস ঐ লোকের ক্ষেত্রে যে হায়েয অবস্থায় মিলন করাকে এবং
গণকের গণনায় বিশ্বাস স্থাপন করাকে হালাল মনে করলো।