আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in সালাত(Prayer) by (57 points)
আমার পৈতৃক ভিটা বরিশাল।কিন্তু পৈতৃক ভিটাতে কোনো মানুষ থাকে না থাকার উপযুক্তও নয় পুরোপুরি পরিত্যক্ত। আমি সাভারে স্থায়ীভাবে বাস করি।গ্রামে যদি এখন আমি পৈতৃক ভিটাতে না গিয়ে বরিশালের অন্য রিলেটিভের বাসায় যাই তবে কি আমি মুসাফির হবো না মুকিম থাকবো?

২।আমি সাভার থেকে আশার সময় নিয়ত করেই এসে ছিলাম গ্রামে ২০ দিনের মতো থাকবো।শরীয়ত অনুযায়ী আমি মুকিম।তাই রাস্তায় সফর কালেও কি মুকিমই থাকবো নাকি যানবাহনে চলার সময় মুসাফির হিসেবেই গন্য হবো?আর মুুুুুুসাফির হবো কখন ঘর থেকে বেেে হবার সাথে সাথে নাকি ৭৭কিলো. অতিক্রমের পর?৭৭কিমি না পেরোলে পূর্ণ নামাজই কি পরতে হবে?

৩।সফরে সালাত আদায় করতে গেলে যেমন লঞ্চ মাঝ নদীতে কেবলা কোনদিকে বুঝবো কিভাবে?
৪.সফরে ফরজ নামাজ কসর করলেও সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নামাজ গুলোও কি আদায় করতে হবে? সুন্নাতে মুয়াক্কাদাও কি কসর করবো নাকি পূর্ণ নামাজই আদায় করবো?
৫.বাসে যদি সফর করি তবে পানি দ্বারা অযু অসম্ভব।তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করলে কি সহীহ হবে?আর মেয়েদের সাদা স্রাব জনিত সমস্যা থাকে তাই বাসে তা পরিষ্কার করাও অসম্ভব ওই অবস্থায় তায়াম্মুম করে সালাত আদায় ছহিহ  হবে কি?আর বাসায় আশার পর সেই সালাত কি পুনঃরায় আদায় করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো ওয়াতনে আসলী (স্থায়ী নিবাস) তে এক দিনের জন্য গেলেও পুরো নামাজ পড়তে হবে।
    
ব্যক্তি নিজের স্থায়ী নিবাসে গেলে কখনো মুসাফির হয়না। স্থায়ী নিবাস বলে এমন স্থানকে-“যেখানে ব্যক্তির বসবাসের জন্য স্থায়ী গৃহ থাকে, স্ত্রী সন্তান নিয়ে যেখানে সর্বদার জন্য থাকার নিবাস হয়”।

শরীয়তের বিধান হলো কোন স্থানে গিয়ে সেখানে যদি কমপক্ষে পনের দিন থাকার নিয়ত না করে, তাহলেও কসর পড়তে হবে। বেশি দিন থাকার নিয়ত করলে কসর করতে পারবে না।

৭৮ কিলোমিটার হল সফরের দূরত্ব। এর কম নয়। সুতরাং কেউ যদি ৭৮ কিলোমিটার দূরত্বের সফরের নিয়তে বের হয় কেবল সেই ব্যক্তি কসর পড়তে পার। এরচে’কম দূরত্বের সফরের জন্য কসর পড়া জায়েজ নয়।

হাদীস শরীফে এসেছে  

سنن أبى داود -صلاة السفر باب متى يقصر المسافر (1 / 465)حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ يَحْيَى بْنِ يَزِيدَ الْهُنَائِىِّ قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنْ قَصْرِ الصَّلاَةِ فَقَالَ أَنَسٌ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- إِذَا خَرَجَ مَسِيرَةَ ثَلاَثَةِ أَمْيَالٍ أَوْ ثَلاَثَةِ فَرَاسِخَ – شُعْبَةُ شَكَّ – يُصَلِّى رَكْعَتَيْنِ.

সারমর্মঃ যখন তিন ফারছাখ সফরের নিয়ত করে,তাহলে কসরের নামাজ পড়তে পারবে।
.
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেখানে থাকেন, যদি সেই বাড়িকেই ওয়াতলে আসলী তথা মূল বাড়ি হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন। অর্থাৎ সেখানেই আপনি মূলত থাকেন পরিবার নিয়ে।
নিজ পিতার বাসায় স্থায়ী ভাবে থাকার যদি কোনো নিয়ত না থাকে,স্থায়ী ভাবেই যদি পিতার বাসা ত্যাগ করে থাকেন,  তাহলে আপনি পিতার বাসায় গিয়ে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করলে মুসাফির হবেন। 
সেখানে কসরের নামাজ পড়বেন।।
,
যদি যেখানে আছেন,সেটাকেই ওয়াতনে আসলী (স্থায়ী নিবাস) হিসেবে ঠিক না করেন,তাহলে আপনি নিজ পিতার বাসায় মুসাফির বলে গন্য হবেননা। 
,
আপনি যেখানে আছেন,সেটাকে স্থায়ী নিবাস হিসেবে আপনি ঠিক করলেও যদি স্থায়ী ভাবেই যদি পিতার বাসা ত্যাগ করে থাকেন,বরং আপনার জীবনের কোনো সময় সেখানে বা সেই এলাকায় ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে,তাহলেও আপনি  নিজ পিতার বাসায় মুসাফির বলে গন্য হবেননা। 
কারন সেটি এখনো আপনার স্থায়ী নিবাস হিসেবেই আছে।

فى رد المحتار- (الوطن الاصلى يبطل بمثله) ( قوله إذا لم يبق له بالأول أهل ) أي وإن بقي له فيه عقار قال في النهر : ولو نقل أهله ومتاعه وله دور في البلد لا تبقى وطنا له وقيل تبقى كذا في المحيط وغيره (رد المحتار-كتاب الصلاة، باب صلاة المسافر، مطلب في الوطن الأصلي ووطن الإقامة-2/614)
সারমর্মঃ ওয়াতনে আসলিতে যদি স্থায়ী আর না থাকার নিয়ত করে,এবং  পরিবার সামানা যদি সেখানে আর না থাকে,তাহলে সেটা আর ওয়াতনে আসলি থাকবেনা। 
অন্যথায় সেটা ওয়াতনে আসলি হিসেবেই থাকবে।   

আরো জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি স্থায়ী ভাবেই পিতার বাসা ত্যাগ করে থাকেন,বরং আপনার জীবনের কোনো সময় সেখানে বা সেই এলাকায় ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা না থাকে,
তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি মুসাফির বলে গন্য হবেন।
নতুবা আপনি মুকিমই থাকবেন। 
,
(০২)
উল্লেখিত ছুরতে রাস্তায় আপনি কসর আদায় করতে  পারবেননা।
কেননা এক্ষেত্রে আপনার পিতার বাড়ি আপনার জন্য ওয়াতনে আসলি যদি নাও হয়,নিশ্চিত ওয়াতনে ইকামত হবেই।
,
(০৩)
এ সংক্রান্ত বিধান জানুনঃ

(০৪)
এক্ষেত্রে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আদায় করা জরুরি নয়।
তবে স্থান নিরাপদ হলে সময় সুযোগ মিললে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা পড়ে নেওয়াই উত্তম।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৫)
যদি কোনোভাবেই অযু না করতে পারে,তাহলে তায়াম্মুম করতে পারবে।
,
হ্যাঁ সতর্কতামূলক বাসায় এসে পবিত্রতা অর্জন করে পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করবে।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 229 views
...