আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
1,777 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, 

মুহতারাম, আমার বয়স ২৭ বছর। আমার নাম রাখা হয়েছিল সৈয়দ মুহাম্মদ আহাদ খান। কিন্তু আমি এখন অনেকের মুখে বা কোন উৎস থেকে জানতে পারি আহাদ নামটি আল্লাহর একক অর্থে ব্যাবহার করা হয়। অথবা আমার নাম রাখা উচিত ছিল "আব্দুল আহাদ'' অর্থাৎ আল্লাহর বান্দা আহাদ। এটা কি ঠিক? যদি তা হয়ে থাকে আমার সব যায়গাই আমার জন্মের পর যে নাম দেয়া হয়েছিল সেটা আছে, তা তো পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তাহলে কি আমি গুনাগার হব? এ ক্ষেত্রে আমার করণীয় কি? দয়া করে একটু জানাতেন!

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 



(১)আল্লাহ তা'আলার ঐ সমস্ত আসমায়ে হুসনা(সুন্দর সিফাতি নাম সমূহ) যা আল্লাহ তা'আলার সত্বাগত(জাতি)নাম সমূহের মধ্য থেকে একটি।অথবা যে আসমায়ে হুসনা শুধুমাত্র আল্লাহ তা'আলার সিফাতে মাখছুছ(বিশেষত সিফাত) অর্থে ব্যবহৃত হয়।সেই আসমায়ে হুসনা সমূহকে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো জন্য ব্যবহার করা জায়েয হবে না।
যেমনঃ

اللّٰه ،الرحمن ،القدوس ،الجبار،المتكبر،الخالق،البارئ،
المصور،الرزاق ،الغفار،القهار ،التواب،الوهاب،الخلاق،
الفتاح،القيوم ،الرب،المحيط ،المليك،الغفور، الأحد ،الصمد،الحق،القادر،المحي،
উচ্ছারণঃ আল্লাহ,রাহমান,কুদ্দুস,জাব্বার,মুতাকাব্বির,খালিক্ব,বারী,মুসাওয়ির,রাজ্জাক, গাফ্ফার,ক্বাহ্হার,তাওয়্যাব,ওয়াহ্হাব,খাল্লাক্ব,ফাত্তাহ,কাইয়্যুম,রাব্ব,মুহিত্ব,মালী...ক,গাফুর,আহাদ,সামাদ,হাক্ব,ক্বাদির,মুহয়ী।

(২)ঐ সমস্ত আসমায়ে হুসনা যা আল্লাহ তা'আলার সিফাতি অর্থ ব্যতীত অন্য অর্থেও ব্যবহৃত হয়।সুতরাং অন্য অর্থ হিসেবে ঐ সমস্ত নামের ব্যবহার গায়রুল্লাহর জন্যও জায়েয হবে।
তবে বিষয়টা ব্যাখা সাপেক্ষ্য।

বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
আপনার নাম পরিবর্তন করতে হবে,নতুবা আহাদ শব্দের আগে "আব্দুল" শব্দ যুক্ত করতে হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

«وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - أَنَّ بِنْتًا كَانَتْ لِعُمَرَ يُقَالُ لَهَا: عَاصِيَةُ فَسَمَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - جَمِيلَةً» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ.
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ)-এর কন্যাকে ‘আসিয়াহ্ বলা হত। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নাম পরিবর্তন করে রাখলেন ‘‘জামীলাহ্’’।সহীহ : মুসলিম ১৫-(২১৩৯), ইবনু মাজাহ ৩১৩৩।
,
★আপনি জন্ম সনদ,আইডি কার্ড ইত্যাদি সহ সবরকমের প্রয়োজনীয় কাগজ থেকে    যথাসম্ভব উক্ত নাম পরিবর্তন করার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
পরিবার,প্রতিবেশী, যাদের সাথে উঠাবসা করেন,সকলের মাঝে নতুন নামের প্রচলন ঘটাবেন। নতুবা গুনাহগার হতে হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান মুহতারাম।  আমার NID, Educational certificate,  Driving Licences,  etc. প্রায়ই অনেক গুলো ডকুমেন্টস এর নাম পরিবর্তন করা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। অনেক হয়রানি শিকার ও হতে হবে। কিন্তু আমি জানতে চাচ্ছি, এইসব ডকুমেন্টস এর নাম পরিবর্তন না করে আমার নতুন নাম তথা, 'আব্দুল আহাদ' নামটি যদি আমার আশে পাশের মানুষের কাছে প্রচলন ঘটাই, বা এনাউন্সমেন্ট করে দি। তাহলে কি আমি গুনাগার হব? বা অনেকে যদি আমার আব্দুল আহাদ না ডেকে আহাদ নাম ধরে ডাকে, তাহলে কি জায়েজ হবে? 
by

আবদুল্লাহ আল আহাদ নাম রাখা যাবে কি প্লিজ উত্তর দেন

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...