আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
219 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (51 points)
আমি শুক্রবার বাদ আসর সুরা কাহফ পড়া শুরু করি। আনুমানিক বিকাল ৬.১৫ থেকে। এবং সুরা কাহফ পাঠ শেষ হয় ৬.৫১ মিনিটে। যদিও মাগরিবের নামাজ এর ওয়াক্ত শুরু হয় ৬.৪৬ এ এবং আমাদের এলাকায় আজান দেয়া হয় ৬.৫০ এ। যখন আমাদের এলাকায় মসজিদের আজান দেয়া হয় তখন আর ৩ কি ৪ আয়াত পড়া বাকি ছিল। আর মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু হবার সময় ১০/১২ আয়াত পড়া বাকি ছিল।

এখন আমার প্রশ্ন হলঃ

১. উপরোক্ত পরিস্থিতিতে শুক্রবারে সুরা কাহফ পাঠের যে ফজিলত হাদিসে বর্ণিত আছে তা কি আমি পাব? যেহেতু আমি শুক্রবারেই তিলাওয়াত শুরু করেছি এবং শুক্রবারেই প্রায় ৯০ শতাংশ পাঠ করেছি।

২. শুক্রবারে সুরা কাহফ পাঠের বিস্তারির মাস আলা জানাবেন। বিশেষত, কোন নিষেধাজ্ঞা থাকলে জানাবেন। সুরা কাহফের ফজিলত লাভের উদ্দেশ্যে কোন সময়ে সুরা কাহফ পাঠ করতে হবে, কোন সময় সুরা কাহফ পাঠ করা যাবেনা,একবারে পড়তে হবে নাকি ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়া যাবে ইত্যাদি জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
https://www.ifatwa.info/6643 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
বৃহস্পতিবার দিন পরবর্তী শুক্রবার রাত বা শুক্রবার  দিনে সূরা কাহাফ তেলাওয়াতের কথা হাদীসে এসেছে।

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযি থেকে বর্ণিত
عن أبي سعيد الخدري قال : " من قرأ سورة الكهف ليلة الجمعة أضاء له من النور فيما بينه وبين البيت العتيق "
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি শুক্রবার রাত বা শুক্রবার দিনে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে।তার এবং কা'বা ঘরের মধ্যবর্তী স্থানকে নুর দ্বারা ভরপুর করে দেয়া হবে।(সুনানে দারেমি-৩৪০৭,সহীহুল জা'মে-৬৪৭১)
 
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
وعن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : " من قرأ سورة الكهف في يوم الجمعة سطع له نور من تحت قدمه إلى عنان السماء يضيء له يوم القيامة ، وغفر له ما بين   الجمعتين ".
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি শুক্রবারে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে,তার পদপৃষ্ঠ থেকে আকাশের উপর পর্যন্ত কিয়ামতের দিন আলোকিত হবে।এবং পরবর্তী জুমুআহ পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে।(আত-তারগিব-১/২৯৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরআন-হাদীসের আলোচনা থেকে যা বুঝা যাচ্ছে,সেটা হল,উক্ত ফযিলত তারাই পাবে,যারা বৃহস্পতিবার বা শুক্রুবারে পড়বে। যেহেতু আপনি শুক্রবার দিনে সূরা কাহফের অধিকাংশ প্রায় ৯০% পড়ে নিয়েছেন,তাই আপনি হাদীসে বর্ণিত পূর্ণ সওয়াব পাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...