ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রস্তাবের পর ইস্তেঞ্জার বিধান হল,প্রস্রাব পায়খানার স্থানকে নাজাসত মুক্ত রাখা,পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা।সুতরাং প্রস্রাবের পর যত সময় ধরে টিস্যু ধরে রাখলে, লজ্জাস্থান পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যাবে,তত সময় পর্যন্ত উক্ত স্থানকে টিস্যু ইত্যাদি রেখে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।তবে যদি কারো বাস্তবে কিছু না আসে,বরং অন্তরে সর্বদা সন্দেহ জাগ্রত হয়,তাহলে এমতাবস্থায় প্রস্রাবের পর হাতে যৎসামান্য পানি নিয়ে কাপড়ে ছিটিয়ে দিতে হবে।যাতেকরে ওয়াসওয়াসা দূর হয়ে যায়।
ইস্তেঞ্জার পদ্ধতি নিয়ে ফুকাহায়ে কেরাম পরামর্শ দেন,যে প্রস্রাবের পর লিঙ্গকে পিছন থেকে সামনের দিকে হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও কনিষ্টাঙ্গুলি দ্বারা নিংড়ানো।এদ্ধারা প্রস্রাবের নালিতে আটকে যাওয়া সমস্ত প্রস্রাব বের হয়ে যায়।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি প্রস্রাবের পর লিঙ্গকে পিছন থেকে সামনের দিকে হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও কনিষ্টাঙ্গুলি দ্বারা নিংড়াবেন।এদ্ধারা প্রস্রাবের নালিতে আটকে যাওয়া সমস্ত প্রস্রাব বের হয়ে যাবে। এবং পরে হাতে যৎসামান্য পানি নিয়ে কাপড়ে ছিটিয়ে দিবেন।(শেষ)
আপনি বলেছেন যে,
"প্রস্রাবের পর প্রাথমিক অবস্থায় বড় ফোটা আসে এবং ৩/৪ বার নিংড়ানোর পর ছোট গোলাকৃতির দাগ পড়ে যা প্রাথমিক ৩/৪ বারের দাগের/ভেজার তুলনায় অনেক ছোট। এমতাবস্থায় কি আমি নিংড়াতেই থাকবো নাকি পানি দিয়ে ধুয়ে চলে আসবো?"
আমরা প্রতিউত্তরে বলব যে,আপনি ৩/৪ বার নিংড়িয়ে তারপর পানি দ্বারা ধৌত করে পানির ছিটা লজ্জাস্থানে দিয়ে উঠে পড়বেন,তথা ইস্তেঞ্জাকে শেষ করে ফেলবেন।
(২)
কমর পর্যন্ত ধৌত করতে যদি আপনি বেশী পরিমাণ পানি ব্যবহার করেন,তাহলে ওয়াশ রুমের ফ্লোর এমনিতেই ধৌত হয়ে যাবে।আলাদাভাবে ধৌত করার কোনো প্রয়োজনিয়তা থাকবে না।