ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত জাবের রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( الْبَقَرَةُ عَنْ سَبْعَةٍ ، وَالْجَزُورُ - أي : البعير - عَنْ سَبْعَةٍ )
তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,গরু সাতজনের পক্ষ্য থেকে যথেষ্ট হবে।এবং উট ও সাতজনের পক্ষ্য থেকে যথেষ্ট হবে।(সুনানু আবি-দাউদ-২৮০৮)
وإن كان كل واحد منهم صبيا أو كان شريك السبع من يريد اللحم أو كان نصرانيا ونحو ذلك لا يجوز للآخرين أيضا كذا في السراجية.
তরজমাঃযদি সাত শরীকের সাতজনই শিশু হয়,বা একজন গোস্তের নিয়তে শরীক হয় বা একজন খৃষ্টান হয়, তাহলে অন্যান্য শরীক(যাদের নিয়্যাত কুরবানি করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন )তাদের কারো কুরবানি সহীহ হবে না, বরং সবার কুরবানি নষ্ট হয়ে যাবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া;৫/৩০৪) (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু উনি ব্যাংক অফিসার,তাই উনার কাজের সাথে সুদের সম্পৃক্ততা থাকবেই, সুতরাং উনি যদি ব্যাংকের ঐ হারাম মাল দ্বারা কোনো কুরবানিতে শরীক হন, তাহলে উক্ত পশুতে যে বা যারা শরীক হবেন,তাদের কারোরই কুরবানি হবে না।সুতরাং ১৩ জ্বিলহজ্বের মধ্যে তাদেরকে আবার কুরবানি করতে হবে। তবে যদি উনি বলেন,যে উনি হালাল টাকা দ্বারা শরীক হয়েছে,কিংবা বলেন যে,ওয়াইফের কাছ থেকে আপাতত ঋণ নিয়ে শরীক হয়েছেন,যা পরবর্তীতে হালাল টাকা দ্বারা ওয়াইফের ঋণ পরিশোধ করা হবে, তাহলে এমতাবস্থায় সবার কুরবানি কবুল হবে।
(২)
সিজদা জায়গা দেখা না গেলে নামায পড়া মাকরুহ।তবে নামায আদায় হয়ে যাবে।