বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কোরবানিকারী কোরবানির গোশত নিজে খেতে পারেন, হাদিয়া দিতে পারেন এবং সদকা করতে পারেন। দলিল হচ্ছে আল্লাহ্র বাণী: “অতঃপর তোমরা তা থেকে খাও এবং দুঃস্থ অভাবীকে আহার করাও”।[সূরা হাজ্জ, আয়াত: ২৮] আল্লাহ্ আরও বলেন: “তখন তোমরা তা থেকে খাও এবং আহার করাও এমন দরিদ্রকে যে ভিক্ষা করে এবং এমন দরিদ্রকে যে ভিক্ষা করে না। এভাবে আমরা সেগুলোকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছি যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর”।[সূরা হাজ্জ, আয়াত: ৩৬] সালামা বিন আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি্ ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমরা খাও, খাওয়াও এবং সংরক্ষণ করে রাখ”।[সহিহ বুখারী] হাদিসে ‘খাওয়াও’ কথাটি ধনীদেরকে হাদিয়া দেয়া এবং দরিদ্রদেরকে দান করাকে অন্তর্ভুক্ত করবে। আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমরা খাও, সংরক্ষণ করে রাখ এবং দান কর”।[সহিহ মুসলিম]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্তে সম্পূর্ণ পশুকে আল্লাহর নামে বিলিয়ে দেয়ার নামই কুরবানি। যেজন্য এ পশুর মধ্য থেকে কাউকে বিনিময় হিসেবে কিছুই দেয়া যাবে না।
চামড়া বা গোশতকে কোনো কিছুর বিনিময়ে কাউকে-ই দেয়া যাবে না।নতুবা সম্পূর্ণ পশুকে যে আল্লাহর নামে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্তে দেয়া হয়েছে,তা বুঝা যাবে না। বরং তখন আল্লাহর নামে দেয়া পশুতে গায়রুল্লাহর সংশ্লিষ্টতা চলে আসবে,যা সম্পূর্ণ অনুচিত এবং কুরবানির উদ্দেশ্যর পরিপন্থী।
সুতরাং নিজের ভক্ষণের জন্য বা অন্যকে হাদিয়া দেয়ার নিমিত্তে কুরবানির পশুকে যে কর্তন করা হবে,তাতে যদি কেউ সাহায্য করে,তাহলে এই সাহায্যর বিনিময়ে কাউকে গোশত বা চামড়া কিছুই দেয়া যাবে না।হ্যা,নিজে উক্ত পশু থেকে খাওয়া যাবে, বা অন্যকে হাদিয়া দেয়া যাবে।তবে কোনো কাজের বিনিময় হিসেবে কাউকে কিছুই দেয়া যাবে না।