আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
280 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি দীর্ঘদিন জেল এ ছিলাম তার আগে বিদেশে ছিলাম আমাকে জেল থেকে বের করতে অনেক টাকা খরচ হয়।
আমাদের এখন ৫ লক্ষ্য টাকার উপরে ঋন আছে কিন্তু আমার ঋন দেয়ার সামর্থ নেই আমার বাবা বিদেশে গেছেন তার ওখানে কাজ কর্ম তেমন নেই উনি শোধ করলে অনেক সময় লাগবে।

এই জন্য একটা জমি ও বিক্রি করতে চাচ্ছি শেস সম্ভল তা ও বিক্রি হচ্ছে না। এমতাবস্থায় যিনি টাকা পায় তিনি অনেক চাপ সৃস্টি করতেছেন জোর পুর্বক সুদ চাচ্ছেন ভিবিন্ন সমস্যা।

আর আমার বাবার বয়স ও ৫৫ এর উপরে কাজ করতে পারে না হার্ট এর মানুষ।আমাদের নিজেদের ও ব্যাবসা বানিজ্য নেই সাথে আমার মামলা ও আছে। তাই সব মিলিয়ে আমার বিদেশ যাওয়া দরকার এখন এই পরিস্থিতি তে যদি আমি সুদ এ ১০ লক্ষ টাকা ঋন নেই তাহলে কি গুনাহ হবে।কারন আপনাদের একটা ফতুয়া দেখলাম যেখানে দলিল এই রকম ছিলো পরিস্থিতি বিবেচনা করে সুদ এ ঋন নেয়া যাবে।


জাজাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (581,910 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/866 নং ফাতাওয়ায় আমি লিখেছি যে, 
বিশিষ্ট হানাফি ফিকহ বিশারদ আল্লামা ইবনে নুজাইম লিখেন
ﻭَﻓِﻲ اﻟْﻘُﻨْﻴَﺔِ ﻭَاﻟْﺒُﻐْﻴَﺔِ: ﻳَﺠُﻮﺯُ ﻟِﻠْﻤُﺤْﺘَﺎﺝِ اﻻِﺳْﺘِﻘْﺮَاﺽُ ﺑِﺎﻟﺮِّﺑْﺢِ (اﻧْﺘَﻬَﻰ)
নিঃস্ব মুখাপেক্ষী মানুষের জন্য সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ জায়েয। (আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ের-১/৭৯;বাহরুর রায়েক-৬/১৩৭;)

সুদের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ হারাম। তবে জরুরত অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে প্রয়োজন পর্যন্ত সিদ্ধ/বৈধ করে দেয়। তাই যদি কারো অন্য কোনো উপায় না থাকে,শত চেষ্টা করেও কোনো উপায় বের করতে না পারে,তাহলে বিলাশীতা পরিহার করে স্বাভাবিক জীবন পরিচালনার জন্য  ইস্তেগফারের সাথে লোন নিতে পারবে, জায়েয রয়েছে।

বিঃদ্র: এ বিধান শুধুমাত্র ঐ ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য, যে কিনা সাধারণ জীবনযাপন করতে পারছে না।এবং তার নিকট এছাড়া অন্য কোনো রাস্তাও নেই।তাই সবার বেলায় তা প্রযোজ্য হবে না। (জদীদ ফেকহী মাসাঈল ৪/৫৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা বলতে পারি যে, আপনি ঋণ পরিশোধ করার স্বার্থে যখন সুদে ঋণ নিতে চাচ্ছেন, তাই আপনার জন্য রুখসত থাকবে। তবে যখনই আপনার প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে। কোনো রকম জীবন পরিচালনা করার সামর্থ্য আপনার হয়ে যাবে, তখনই আপনার এরকম সুদী হারাম দেনদেন থেকে নিজেকে ঘুছিয়ে নিতে হবে। আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...