আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
373 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)
আমরা সবাই জানি যে বিড়াল পবিত্র প্রাণী। আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ নিজেও বিড়াল পালতেন।
আমাদের একটি গ্রুপ আছে যেখানে বিড়াল এডপ্ট (দওক)দেওয়া হয়।রাস্তার বিড়াল রেস্কিউ করে তাদের নিরাপদ বাসা খুঁজে দেওয়া হয়।
এখন প্রশ্ন হলো গ্রুপে যেহুতু ছেলে মেয়ে উভয়ই আছে।গ্রুপের মেম্বারদের মধ্যে কেউ কেউ যদি নিজেদের মধ্যে যদি ফেতনার সৃষ্টি হয়।তাহলে কি এডমিনেরও গোনাহ্ হবে???আর গ্রুপে কেউ যদি মিউজিক ভিডিও দেয় বিড়ালের/ নিজেদের ছবি দেয় তাহলে কি এডমিনরাও সমান গোনাহগার হবে??
আর যদি গোনাহ হয়,তাহলে যদি গ্রুপটা অন্য কাউকে দিয়ে দেয়।তাহলে ঐ গ্রুপে তখন যাই হোক না কেন,তার দায় ভার কি এডমিন (অর্থাৎ যে গ্রুপটা খুলেছিল) তার কি থাকবে????

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 
.

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এডমিন গন তাদের বের করে দিবেন।
নতুবা তাদেরও গুনাহ হবে।
অন্যকে গ্রুপ দিয়ে দিলেও এর দায়ভার থেকে মুক্ত হওয়া যাবেনা।

আপনি তাদেরকে বের করে দিন।
,
এখানে একটি বিষয়  স্পষ্ট করছিঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ বিড়াল পালতেন মর্মে কোনো হাদীস পাইনি।
সুতরাং এটাকে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর দিকে নিসবত করা যাবেনা।
,
★তবে শর্ত সাপেক্ষে বিড়াল পালন করা বৈধ আছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنِيْ عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ بْنُ أَسْمَاءَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ عُذِّبَتْ امْرَأَةٌ فِيْ هِرَّةٍ سَجَنَتْهَا حَتَّى مَاتَتْ فَدَخَلَتْ فِيْهَا النَّارَ لَا هِيَ أَطْعَمَتْهَا وَلَا سَقَتْهَا إِذْ حَبَسَتْهَا وَلَا هِيَ تَرَكَتْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ

 ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারীকে একটি বিড়ালের কারণে আযাব দেয়া হয়েছিল। সে বিড়ালটিকে বেঁধে রেখেছিল। সে অবস্থায় বিড়ালটি মরে যায়। মহিলাটি ঐ কারণে জাহান্নামে গেল। কেননা সে বিড়ালটিকে খানা-পিনা কিছুই করাইনি এবং ছেড়েও দেয়নি যাতে সে যমীনের পোকা-মাকড় খেয়ে বেঁচে থাকত। 

(বুখারী শরীফ ৩৪৮২.আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৩৩)

এ হাদিসের ব্যাখ্যায় হাফেজ ইবনে হাজার (রহ.) বলেন, কুরতুবি (রহ.) বলেছেন, এ হাদিস থেকে বিড়াল পালা ও বিড়ালকে বেধে রাখা জায়েজ বলে প্রমাণিত হয়, যদি তাকে খানাপিনা দেওয়ার ব্যাপারে ত্রুটি না করা হয়।  (ফাতহুল বারি : ৬/৪১২) 

সুতরাং উল্লেখিত শর্তের ভিত্তিতে বিড়াল পালা বৈধ।

বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...