জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
.
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এডমিন গন তাদের বের করে দিবেন।
নতুবা তাদেরও গুনাহ হবে।
অন্যকে গ্রুপ দিয়ে দিলেও এর দায়ভার থেকে মুক্ত হওয়া যাবেনা।
আপনি তাদেরকে বের করে দিন।
,
এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট করছিঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ বিড়াল পালতেন মর্মে কোনো হাদীস পাইনি।
সুতরাং এটাকে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর দিকে নিসবত করা যাবেনা।
,
★তবে শর্ত সাপেক্ষে বিড়াল পালন করা বৈধ আছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنِيْ عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ بْنُ أَسْمَاءَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ عُذِّبَتْ امْرَأَةٌ فِيْ هِرَّةٍ سَجَنَتْهَا حَتَّى مَاتَتْ فَدَخَلَتْ فِيْهَا النَّارَ لَا هِيَ أَطْعَمَتْهَا وَلَا سَقَتْهَا إِذْ حَبَسَتْهَا وَلَا هِيَ تَرَكَتْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারীকে একটি বিড়ালের কারণে আযাব দেয়া হয়েছিল। সে বিড়ালটিকে বেঁধে রেখেছিল। সে অবস্থায় বিড়ালটি মরে যায়। মহিলাটি ঐ কারণে জাহান্নামে গেল। কেননা সে বিড়ালটিকে খানা-পিনা কিছুই করাইনি এবং ছেড়েও দেয়নি যাতে সে যমীনের পোকা-মাকড় খেয়ে বেঁচে থাকত।
(বুখারী শরীফ ৩৪৮২.আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৩৩)
এ হাদিসের ব্যাখ্যায় হাফেজ ইবনে হাজার (রহ.) বলেন, কুরতুবি (রহ.) বলেছেন, এ হাদিস থেকে বিড়াল পালা ও বিড়ালকে বেধে রাখা জায়েজ বলে প্রমাণিত হয়, যদি তাকে খানাপিনা দেওয়ার ব্যাপারে ত্রুটি না করা হয়। (ফাতহুল বারি : ৬/৪১২)
সুতরাং উল্লেখিত শর্তের ভিত্তিতে বিড়াল পালা বৈধ।
বিস্তারিত জানুনঃ