ওয়া আলাইকুমুস-সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ-
মলদ্বারের ভেতরের অংশে ওষুধ বা পানি ইত্যাদি গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস
রাযি. থেকে বর্ণিত-
ذكر عنده الوضوء من الطعام، قال الأعمش مرة
والحجامة للصائم، فقال : إنما الوضوء مما يخرج وليس مما يدخل، وإنما الفطر مما دخل
وليس مما خرج.
শরীর থেকে (কোনো কিছু)
বের হলে অযু করতে হয়, প্রবেশ করলে নয়।
পক্ষান্তরে রোযা এর উল্টো। রোযার ক্ষেত্রে (কোনো কিছু শরীরে) প্রবেশ করলে রোযা ভেঙ্গে
যায়, বের হলে নয়।
(আল মাজমু‘,
৬/৩১৭ ,ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪০২)
ফাতাওয়ায়ে শামীতে
রয়েছে-
ولو بالغ في الاستنجاء حتی بلغ موضع الحقنۃ فسد
সারমর্মঃ যদি ইস্তেঞ্জার ক্ষেত্রে মুবালাগাহ করা হয়,এমনকি হাকনার স্থান পর্যন্ত পৌছে যায়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে শামী , ৩/২২৯)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে
রয়েছে-
ولو أدخل إصبعہ في إستہٖ والمرأۃ في فرجہا لا یفسد،
إلا إذا کانت مبتلۃ بالماء أو الدہن فحینئذٍ یفسد لوصول الماء أو الدہن۔ (الفتاویٰ
الہندیۃ ۱؍۲۰۴)
সারমর্মঃ যদি কেহ
পিছনের রাস্তায় আঙ্গুল প্রবেশ করে,বা কোনো মহিলা গুপ্তাঙ্গের
ভিতর আঙ্গুল প্রবেশ করে,যদি সেটি পানি,তৈল দ্বারা ভেজা হয়ে থাকে,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
১.রোজা অবস্থায় ইস্তেঞ্জা
করার নিয়ম হলো, প্রথমে টিস্যু দ্বারা মুছবে।
তারপর মলদ্বারের মাথা অর্থাৎ সামনের অংশ ভালোভাবে কচলিয়ে পানির দ্বারা ধৌত করে ফেলবে।
তবে সতর্ক থাকবে যাতে মলদ্বারের ভেতরের অংশে পানি ইত্যাদি চলে না যায় ।
২.ইস্তিঞ্জা করার
সময় সামান্য সাবান মলদ্বারের সামনের অংশে প্রবেশ করলে রোজার কোন সমস্যা হবে না । তবে সতর্ক থাকবে যাতে মলদ্বারের ভেতরের অংশে চলে না
যায়।