হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ: مَنْ أَبَرُّ؟ قَالَ: أُمَّكَ، ثُمَّ أُمَّكَ، ثُمَّ أُمَّكَ، ثُمَّ أَبَاكَ، ثُمَّ الْأَقْرَبَ، فَالْأَقْرَبَ، وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَسْأَلُ رَجُلٌ مَوْلَاهُ مِنْ فَضْلٍ هُوَ عِنْدَهُ، فَيَمْنَعُهُ إِيَّاهُ، إِلَّا دُعِيَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَضْلُهُ الَّذِي مَنَعَهُ شُجَاعًا أَقْرَعَ
বাহয ইবনু হাকিম (রাঃ) থেকে তার পিতা এবং তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার উত্তম ব্যবহার পাওয়ার অধিক হকদার কে? তিনি বললেন, তোমার মা, তারপর তোমার মা, তারপর তোমার মা, অতঃপর তোমার বাবা, এরপর পর্যায়ক্রমে আত্মীয়তার নৈকট্য অনুসারে হবে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো বললেনঃ কোনো গোলাম তার মালিকের নিকট তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থেকে চাইলে এবং সে দিতে অস্বীকৃতি জানালে কিয়ামাতের দিন ঐ অতিরিক্ত সম্পদ তার জন্য একটি মাথায় টাক পড়া বিষধর সাপে রূপান্তরিত করা হবে।
(আবু দাউদ ৫১৩৯)
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللهِ مَنْ أَحَقُّ بِحُسْنِ صَحَابَتِىْ؟ قَالَ:أُمَّكَ. قَالَ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ:أُمَّكَ. قَالَ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَأُمَّكَ. قَالَ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ:أَبُوكَ. وَفِىْ رِوَايَةٍ قَالَ:أُمَّكَ ثُمَّ أُمَّكَ ثُمَّ أُمَّكَ ثُمَّ أَبَاكَ ثُمَّ أَدْنَاكَ أَدْنَاكَ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রসূল! আমার সাহচর্যে আমার সদাচার পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারী কে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ ‘‘তোমার মা’’। লোকটি বলল, তারপর কে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ ‘‘তোমার মা’’। লোকটি পুনরায় জিজ্ঞেস করল, তারপর কে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ ‘‘তোমার মা’’। লোকটি আবারো জিজ্ঞেস করল, তারপর কে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ ‘‘তোমার বাবা’’। অপর এক বর্ণনায় আছে যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমার মা, অতঃপর তোমার মা, অতঃপর তোমার মা, অতঃপর তোমার বাবা, তারপর তোমার নিকট আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধব।
সহীহ : বুখারী ৫৯৭১, মুসলিম ১-(২৫৪৮), ইবনু মাজাহ ২৭০৬ আবূ দাঊদ ৫১৩৯, সহীহুল জামি‘ ১৩৯৯, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ৮৯৫, আহমাদ ৯০৮১, মুসনাদে আবূ ই‘য়ালা ৬০৯২, শু‘আবুল ঈমান ৭৮৩৯, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ১৬৩২৩, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৫০৬৫, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৬১৭২।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মহান আল্লাহ,আর রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পর সর্বপ্রথম সদ্ব্যবহার পাওয়ার হকদার মা, তারপর পিতা, তারপর ছেলে-মেয়ে, তারপর দাদাগণ-নানাগণ, রক্তসম্পর্কীয় মাহরাম আত্মীয়গণ। যেমন : চাচা ও ফুফুগণ, মামা ও খালাগণ। এরপর পর্যায়ক্রমের নিকট আত্মীয়গণ। এরপর রক্তসম্পর্কীয় গায়রে মাহরাম (যাদের সাথে বিবাহ হালাল বা বৈধ) যেমন- চাচতো ভাই, চাচাতো বোন, মামাতো ভাই, মামাতো বোন ইত্যাদি। এরপর শ্বশুর বাড়ীর আত্মীয়দের সাথে সদাচরণ করতে হবে। এরপর খাদেম বা কর্মচারীদের সাথে স্তর অনুযায়ী। এরপর প্রতিবেশীদের সাথে। এর মধ্যে যার বাড়ীর কাছে সে বেশি হকদার, এভাবে পর্যায়ক্রমে দূরের। (শারহুন নাবাবী ১৬শ খন্ড, হাঃ ১-[২৫৪৮])