আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
3,013 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (47 points)
edited by
আসসালামুওয়ালাইকুম। আজ প্রায় ২ বছর ধরে আমি একটি মানসিক যন্ত্রনায় ভোগছি। আমার মনের মধ্যে সারাক্ষণ শুধু আল্লাহকে নিয়ে আপত্তিকর বাজে মন্তব্য মাথায় আসে। এইসব চিন্তা যখন করি তখন আমার মন একটুও আটকায় না।  কিন্তু একি সাথে আমি চাইনা আমার এসব চিন্তা আসুক। এই সব চিন্তা কেন করি আমি নিজেও জানি না। আমি জানি এগুলা কুফরি। এগুলোর পরিণতি ভয়াভহ। আমি জানি না আমি ইমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারব কিনা। মানুষ আল্লাহকে কত সম্মান করে,মন থেকে ভালবাসে,শ্রদ্ধা করে সেসব দেখে আমার নিজের প্রতি আফসোস হয় আমি কেন ওদের মত পারি না।
মানুষ তো স্বাধীন চিন্তার অধিকারী। যা খুশি চিন্তা করতে পারে।তাহলে আমি কেন এই খারাপ চিন্তা গুলোকে আটকাটে পারছি না। আমি এসব বাজে চিন্তা করি কেন বুঝতেছিনা। ভিতর থেকে কি যেন আল্লাহকে নিয়ে অপমানজনক কথা বলার জন্য উস্কে দিচ্ছে। তাও ইগনুর করার চেষ্টা করি।

আবার কয়েক জায়গায় পড়লাম এ চিন্তা গুলো মুখে না বলা বা কাজে না করলে ইমান চলে যাবে না। সেটা চিন্তা করে আবার নিজ থেকেই ইচ্ছা করে চিন্তা করি। কোনটা ওয়াসওয়াস আর কোনটা আমার নিজ ইচ্ছা থেকে করতেছি পার্থক্য করতে পারছি না।মনে হচ্ছে এটা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

আমি স্বাভাবিক ইমানদার হয়ে বেচে থাকতে চায়।
আমি জানি এসব চিন্তা মনে আসতেই দেওয়া যাবেনা,পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলতে হবে।কিন্তু সেটাই আমি পারছি না।
 আমি এগুলো থেকে মুক্তি চায়।
আমার করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪)


★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মনে মনে ভাবলেই কেহ কাফের হয়ে যায়না।
তবে এসব চিন্তা ভাবনার কারনে মহান আল্লাহর কাছে খালেছ দিলে তওবা করতে হবে। 
,
এসব চিন্তা মাথায় আসলেই 
أعوذ بالله من الشيطان الرجيم 
পড়তে হবে।

 ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)
পড়বেন।
,
আল্লাহর কাছে এসব চিন্তা থেকে পানাহ চাইতে হবে,বেশি বেশি নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, যিকির আযকার,হক্কানী শায়েখদের বয়ান শুনতে হবে।
,
দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত হতে পারেন,বা কোনো হক্কানী শায়েখের কাছে যেতে পারেন।
,
এসব চিন্তা মনে আসতেই দেওয়া যাবেনা,পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলতে হবে।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
সে তো ঐটাই করতে পারছে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...