বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব,
যদি মৃত ব্যক্তি তার সম্পদ
থেকে তার নামাযের কাফফারা আদায়ের জন্য অসিয়ত করে যায়, আর
তার নিজের মালও ছিল। তাহলে তার এক তৃতীয়াংশ সম্পদ থেকে কাফফারা আদায় করতে হবে।আর যদি তার কোন সম্পদ না
থাকে, বা সে মাল রেখে গেছে কিন্তু কোন কাফফারা আদায়ের অসিয়ত করে
যায়নি। তাহলে মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কাফফারা আদায় করা আত্মীয়দের উপর জরুরী নয়।
তবে স্বজনদের কাফফারা আদায় করে দেয়াই উত্তম।সন্তানদের সামর্থ্য থাকলে নিজেদের সম্পত্তি থেকে স্বতঃস্ফূর্ততার সাথে মরহুম পিতার নাজাতের জন্য
কাফ্ফারা আদায় করে দিতে পারেন তিনি উপকৃত
হবেন ও পরকালে
শান্তিতে থাকবেন বলে আশা করা যায় ইনশাআল্লাহ।
(وَلَوْ مَاتَ وَعَلَيْهِ صَلَوَاتٌ فَائِتَةٌ وَأَوْصَى بِالْكَفَّارَةِ يُعْطَى لِكُلِّ صَلَاةٍ نِصْفَ صَاعٍ مِنْ بُرٍّ) كَالْفِطْرَةِ (وَكَذَا حُكْمُ الْوِتْرِ) وَالصَّوْمِ، وَإِنَّمَا يُعْطِي (مِنْ ثُلُثِ مَالِهِ) (الدر المختار-2/72)
وَأَمَّا إذَا لَمْ يُوصِ فَتَطَوَّعَ بِهَا الْوَارِثُ فَقَدْ قَالَ مُحَمَّدٌ فِي الزِّيَادَاتِ إنَّهُ يُجْزِيهِ إنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، (رد المحتار-2/95-100)
কাফ্ফারা আদায়ের পদ্ধতি
হলো, বিতরসহ প্রতিদিন ছয়
ওয়াক্ত নামাজ ধরে এক এক ওয়াক্ত নামাযের জন্য পৌনে দুই সের গম অথবা আটা বা তার
সমপরিমাণ মূল্য গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।
উল্লেখ্য, অসুস্থতার দিনগুলোতে ছয় ওয়াক্ত বা তার অধিক
সময় নামাজ বেহুঁশ বা অজ্ঞান থাকলে সে সময়ের নামাজ সম্পূর্ণই মাফ। এর কোনো
কাফ্ফারা আদায় করতে হবে না।(আদ দুররুল মুখতার ২/৭২; ফাতাওয়া আলমগিরী ১/১২৫)
কাফফারার পরিমাণ হল, প্রতিদিন
বিতরসহ ছয় ওয়াক্ত নামায হিসেব করে প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য পৌনে দুই সের গম বা আটা
অথবা এর বাজার মূল্য গরীব মিসকিনকে মালিক বানিয়ে দিতে হবে। অথবা প্রতি ওয়াক্তের
বদলে একজন গরীবকে দুই বেলা তৃপ্তি সহকারে খানা খাওয়াতে হবে। {ফতাওয়া
শামী-২/৭২}