আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
149 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (109 points)
আসসালামু 'আলাইকুম।

১,আমার একটি ভেজা গামছায় এক দিরহামের দশ ভাগের এক ভাগ পরিমাণ নাপাকি লাগে,এবং তা ছড়ায়নি,ত সেটা পাক ধরেছিলাম,পরবর্তীতে সে গামছা দিয়ে ফরজ গোসল শেষে গা মুছলে কি গা নাপাক হয়ে যাবে? যেহেতু গা ভিজা থাকে।

২,রুকুতে 'সুবহানাকাল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়াবিহামদিক,আল্লাহুম্মাগফিরলী' এটা পড়তে যেয়ে একাধিক বার শুধু 'সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়াবিহামদিক ' বলেছি। এতে কি নামায ভংগ হবে? একাকি সালাত পড়ছিলাম।

৩,ইমামের পিছনে কোনো সালাতের মুক্তাদির নিজস্ব ওয়াজিব মিস গেলে কি করণীয়? কারণ আমিত আলাদা করে সাহু সিজদা দিতে পারবনা।

জাযাকাল্লাহু খাইর

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
কোনো কাপড়ে নাপাকি লাগলে শরীয়তের বিধান হলো যদি নাপাকির পরিমান এক দিরহাম পরিমাণ হয়, তাহলে সেই কাপড় পরিধান করে নামায পড়া জায়েজ নয়। কিন্তু যদি এক দিরহাম থেকে কম হয়, তাহলে উক্ত নাপাক হলেও সেটি পরিধান করে নামায পড়া জায়েজ আছে।

صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}

আরো জানুনঃ 

★প্রশ্নে উল্লেখিত গামছায় নাপাকি অনেক কম লাগলেও সেই গামছা নাপাকই।
সেটি পাক নয়।
,
উক্ত গামছা দিয়ে গা মুছলে গা যেহেতু ভেজা থাকে,,আর নাপাকি লেগে থাকা স্থান এর দিক থেকে শরীর মুছারও আশংকা রয়েছে, তাই সতর্কতামূলক শরীরকে নাপাক ধরা হবে।
,
(০২)
এতে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
,
(০৩)
এতে মুক্তাদির কোনো করনীয় নেই।
তার উপর সেজদায়ে সাহু আসবেনা।
তবে ভবিষ্যতে এহেন ভুল করবেনা।   

বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 362 views
...