আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
393 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বরাকাতুহ,  শায়েখ, মাত্রাতিরিক্ত  লোন থেকে মুক্তির আমল কি হতে পারে?মানুষের এই হক টা খুব জলদি আদায় করতে চাই।
পরিবারের যে কেউ কি সেই আমলটি করতে পারবেন তার জন্য??
একজন শায়েখ এর এই প্রসঙ্গে নিম্মক্ত আমল টি বলেছেন যতটুক আমার মনে আছে-
এশার সালাতের পরে আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়েদেনা মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম 100 বার লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লাবিল্লাহ 499 বার, লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লাবিল্লাহিল আলিইল আযিম 1 বার।

এই আমলটা চালিয়ে গেলে নাকি ৪০ দিনের মধ্যে ইনশাআল্লাহ লোন শোধ হয়ে যাবে, কিন্তু আমি একটু রেফারেন্স চাচ্ছিলাম,
আর এছাড়া কোনো আমল কি আছে যেটা আমি আমার পরিবারের জন্য করতে পারি আর আল্লাহ খুব দ্রুত আমাদের এই ঋণ এর বোঝা থেকে মুক্তি দেন।
হুজুর সর্বোপরি  আপনার কাছে  এই বিষয়ে আমাদের জন্য দুয়ার দরখাস্ত রইলো।
জাযাকাল্লাহু খইর।

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনার বর্ণিত এ আ’মল মূলত সালাফদের অভিজ্ঞতার আলোকে বর্ণিত। কুরআন হাদীস থেকে এ আমলের পক্ষ্যে কোনো রেফারেন্স বের করা যাবে না। 
তবে আপনি মাগরিব পর সূরা ওয়াকেয়ার আ’মল করতে পারেন।  

সূরা ওয়াকেয়া সম্পর্কে নিম্নোক্ত হাদীস বর্ণিত রয়েছে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ـ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ـ ﻳﻘﻮﻝ : " ﻣﻦ ﻗﺮﺃ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻮﺍﻗﻌﺔ ﻛﻞ ﻟﻴﻠﺔ ﻟﻢ ﺗﺼﺒﻪ ﻓﺎﻗﺔ ﺃﺑﺪًﺍ "
তরজমাঃ- তিনি বলেন, নবীজী ﷺ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাতে সূরা ওয়াকেয়া তিলাওয়াত করবে; সে কখনও অভাব-অনটনে পতিত হবেনা।’ (শু‘আবুল ঈমান, হাদীস নং-২৪৯৯)

সূরা ওয়াক্বেয়ার ফযিলত সম্পন্ন হাদীস সহীহ না যঈফ? এ সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণের নিকট মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
মুহাদ্দিস মুনাওয়ী রাহ বলেন,
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻤﻨﺎﻭﻱ ﻓﻲ ﻓﻴﺾ ﺍﻟﻘﺪﻳﺮ:
ﻣﺎ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻲ ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ - ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ - ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ﻣﻦ ﻗﺮﺃ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻮﺍﻗﻌﺔ ﻓﻲ ﻛﻞ ﻟﻴﻠﺔ ﻟﻢ ﺗﺼﺒﻪ ﻓﺎﻗﺔ ﺃﺑﺪﺍً . ﻭﻫﻮ ﺣﺪﻳﺚ ﺿﻌﻴﻒ، 
ইমাম বায়হাক্বী যে হাদীস ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণনা করেছেন,সেটা যঈফ।(ফয়যুল ক্বাদির)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 117 views
0 votes
1 answer 136 views
...