আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
224 views
in পবিত্রতা (Purity) by (67 points)
মিনারেল ওয়াটার দিয়ে অজু, ফরজ গোসল ও পবিত্রতা অর্জন করা যাবে?

যেহেতু মিনারেল ওয়াটার তিতা স্বাদের হয় অর্থাৎ পানির স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যায়।

---------------------------------------------------------------------------

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)

 

بسم الله الرحمن الرحيم

 

 

জবাব,                                                                                                                                      

পবিত্র কুরআন পাকের এরশাদ:

إِذْ يُغَشِّيكُمُ النُّعَاسَ أَمَنَةً مِنْهُ وَيُنَزِّلُ عَلَيْكُمْ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً لِيُطَهِّرَكُمْ بِهِ وَيُذْهِبَ عَنْكُمْ رِجْزَ الشَّيْطَانِ-

যখন তিনি আরোপ করেন তোমাদের উপর তন্দ্রাচ্ছন্ন তা নিজের পক্ষ থেকে তোমাদের প্রশান্তির জন্য এবং তোমাদের উপর আকাশ থেকে পানি অবতরণ করেন, যাতে তোমাদিগকে পবিত্র করে দেন এবং যাতে তোমাদের থেকে অপসারিত করে দেন শয়তানের অপবিত্রতা।  [সুরাহ আনফাল আয়াত ১১]

অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে:

وَأَنْزَلْنَا مِنَ السَّمَاءِ مَاءً طَهُورًا-

এবং আমি আকাশ থেকে পবিত্রতা অর্জনের জন্যে পানি বর্ষণ করি।  [সুরাহ আল ফুরকান : আয়াত ৪৮]

যে পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করা যায় তা নিম্নরূপ

১। খালেস পানি। (সুরা : আনফাল, আয়াত : ১১, বুখারি, হাদিস : ১৪৬)

খালেস পানি বলা হয় ওই পানিকে, যাতে মৌলিক গুণাবলি (রং, স্বাদ, ঘ্রাণ) বহাল থাকে, কোনো নাপাকির সংমিশ্রণ না হয় এবং অন্য কোনো বস্তু তার ওপর প্রাধান্য বিস্তার না করে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৫১৪)

খালেস পানি বলতে নিম্নের পানিগুলোকে বোঝানো হয়

১। আসমান থেকে বর্ষিত পানি ২. কূপের পানি ৩. ঝরনার পানি ৪. নদীর পানি ৫. সাগরের পানি ৬. বরফ গলা পানি .৭ কুয়াশার পানি।(আল ফিকহুল হানাফি আল মুইয়াসসার : ১/৩৩)

পবিত্রতা অর্জিত হওয়া ও না হওয়ার দিক থেকে পানি পাঁচ প্রকার১। সাধারণ পবিত্র পানি : যে পানি নিজেও পবিত্র আবার অন্যকেও পবিত্র করতে সক্ষম তা হলো খালেস পানি। (সুরা : আনফালআয়াত : ১১বুখারিহাদিস : ১৪৬)

২। মাকরুহ পানি : যে পানি নিজে পবিত্র এবং তা থেকে পবিত্রতাও অর্জন করা যায়তবে মাকরুহযেমনবিড়ালমোরগছিঁড়ে-ফেড়ে খাওয়া জন্তু বা সাপের উচ্ছিষ্ট পানি। খালেস পবিত্র পানি থাকা অবস্থায় এমন পানি দিয়ে অজু-গোসল করা মাকরুহে তানজিহি। যদি এমন পানি ছাড়া কোনো পানি না থাকেতাহলে এই পানি ব্যবহার করা মাকরুহ হবে না। (ইবনে মাজাহহাদিস : ৩৬২মুসনাদে আহমাদহাদিস : ৮৩২৪)

৩। সন্দেহযুক্ত পানি : এ ধরনের পানি পবিত্রকিন্তু তা দ্বারা পবিত্র হওয়ার বিষয়টি সন্দেহযুক্তযেমনগাধা অথবা খচ্চরের উচ্ছিষ্ট পানি। এই পানি পবিত্র হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেইকিন্তু এর দ্বারা অজু করা ঠিক হবে কি না তাতে সন্দেহ। তাই এমন পানি ছাড়া অন্য পানি না থাকলে তা দিয়ে অজুও করবেতায়াম্মুমও করবে। এ ব্যাপারে পরস্পর বিরোধপূর্ণ হাদিস থাকায় বিষয়টি সন্দেহযুক্ত বলে বিবেচিত হবে। (সহিহ বুখারিহাদিস : ৩৮৭৭আবু দাউদহাদিস : ৩৩১৫)

৪। ব্যবহৃত পানি : হাদিসের স্পষ্ট বর্ণনার কারণে ব্যবহৃত পানি পবিত্র। তবে হাদিসের ভাষ্য মতেএই পানি দ্বারা অজু হবে না। (বুখারিহাদিস : ৫২৪৪)

ব্যবহৃত পানি বলা হয় এমন পানিকেযা হাদাস’ (অপবিত্রতা দূর করা বা সওয়াব অর্জনের জন্য অজু ও গোসলে ব্যবহৃত হয়েছে। ব্যবহারকারীর শরীর থেকে আলাদা হওয়ার পর সেই পানি ব্যবহৃত পানি বলে গণ্য হবে।

৫. নাপাক পানি : সামান্য আবদ্ধ পানিযাতে নাপাকির মিশ্রণ ঘটেছেপানির মধ্যে নাপাকির প্রভাব প্রকাশ হোক বা না হোকএমন পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করা যাবে না। (বুখারিহাদিস : ২৩২)

যে পানির মধ্যে নাপাকির প্রভাব প্রকাশ পায় তা কম হোক আর বেশিভাসমান হোক বা আবদ্ধসবই নাপাক পানি হিসেবে গণ্য হবে। (ইবনে মাজাহহাদিস : ৫১৪)


 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

 মিনারেল ওয়াটার পবিত্র হওয়ার ব্যাপারে সকল উলামায়ে কেরাম একমত পোষণ করেছেন।আমরা জানি যে,তহারত অর্জনের জন্য পানি পবিত্র হওয়া শর্ত। সুতরাং  উক্ত পানি পবিত্র হওয়াই তা দিয়ে অজু ,গোসল ও পবিত্রতা অর্জন করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+2 votes
1 answer 447 views
...