আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+3 votes
870 views
in সালাত(Prayer) by (4 points)
আমার মহল্লার ইমামের সালাতে কিরাআত বিশুদ্ধ নয়। তাজবীদ, মাখরাজ সবখানেই ভুল। (যেমনঃ হা, আইন, ক্বফ এর উচ্চারণ), মাদ্দ ইত্যাদি সবখানেই ভুল। আমি নিজে শুদ্ধ তিলাওয়াত পারি আলহামদুলিল্লাহ।

এখন আমি কি ঐ ইমামের পেছনেই সালাত পড়ব? নাকি একাকী বাসায় পড়ব? (আশেপাশে ঐ মসজিদ ব্যাতিত অন্য কোনো মসজিদও নেই)

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)

                                                    بسم الله الرحمن الرحيم               



জবাব,                                                                                                                                       

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমাম ও মুয়াযযিনের ব্যাপারে বলেছেন,

ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺿﺎﻣﻦ ﻭﺍﻟﻤﺆﺫﻥ ﻣﺆﺗﻤﻦ، ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺃﺭﺷﺪ ﺍﻷﺋﻤﺔ ﻭﺍﻏﻔﺮ ﻟﻠﻤﺆﺫﻧﻴﻦ

ইমাম হচ্ছে দায়িত্বশীল আর মুয়াজ্জিন আমানতদার, হে আল্লাহ! ইমামদের সঠিক পথ দেখান এবং মুয়াজ্জিনদেরকে ক্ষমা করুন। (তিরিমিযী ২০৭)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

ألا كُلُّكُمْ راعٍ ، وكُلُّكُمْ مَسؤولٌ عن رَعِيَّتِهِ

 

 তোমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল আর তোমাদের প্রত্যেককে সে দায়িত্ব সম্পর্কে জবাব দিতে হবে। ( বুখারি ৭১৩৮)

 সুতরাং যোগ্য ইমাম নির্বাচন করার ক্ষেত্রে মসজিদ কমিটি দায়িত্বশীল। জেনে শুনে অযোগ্য ব্যক্তিকে ইমাম নিয়োগ দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ (বিশেষতঃ মসজিদ কমিটিকে) সমাজের সকলের হক নষ্টকারী হিসেবে আল্লাহর কাছে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।

 

এজন্য মসজিদ কমিটির দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কর্তব্য হল, কোরআন-সুন্নাহর যথাযথ অনুসারী,সঠিক কিরাআত আদায় কারী যোগ্য ইমাম নির্বাচন করা।

কেননা নামাজে কেরাত অশুদ্ধ পড়ার কারণে যদি তার অর্থের মধ্যে এমন বিকৃতি ঘটে যা কুরআনে বর্ণিত ঘটনা বা তথ্যের সম্পূর্ণ বিপরীত অথবা ভুলের কারণে যে অর্থ সৃষ্টি হয়েছে তা যদি ঈমান পরিপন্থী কথায় পরিণত হয় তাহলে নামায নষ্ট হয়ে যাবে।

فى الفتاوى الهندية – ولا يصح اقتداء القارئ بالأمي

 

উম্মির(অর্থাৎ যার কেরাত অশুদ্ধ) পিছনে ক্বারীর(অর্থাৎ যার ক্বিরাত বিশুদ্ধ) ইকতিদা সহীহ নেই। ফাতাওয়া শামী- ২/৩২৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৪৩-১৪৪, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া-২/২৫৬

 


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!

তাজবীদসম্মত কেরাত হওয়া জরুরি, কিন্তু কেরাতের যে কোনো প্রকার ভুলের কারণেই নামায নষ্ট হয়ে যায় না; বরং কেরাত অশুদ্ধ পড়ার কারণে যদি তার অর্থের মধ্যে এমন বিকৃতি ঘটে যা কুরআনে বর্ণিত ঘটনা বা তথ্যের সম্পূর্ণ বিপরীত অথবা ভুলের কারণে যে অর্থ সৃষ্টি হয়েছে তা যদি ঈমান পরিপন্থী কথায় পরিণত হয় তাহলে নামায নষ্ট হয়ে যাবে।

তাই ইমামের কেরাতের ভুলের ক্ষেত্রে নিজ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে স্থানীয় বিজ্ঞ আলেম বা কোনো মুফতী সাহেবকে ঐ অশুদ্ধ কেরাতের ধরন জানিয়ে এর হুকুম জেনে নেওয়া জরুরি। এতে ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া থেকে বাঁচা যাবে।তবে যদি বাস্তবেই প্রমাণিত হয় যে, ইমামের কেরাত এমন অশুদ্ধ, যার দ্বারা নামায নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সম্ভব হলে পার্শবর্তী অন্য মসজিদে নামাজ আদায় কারার চেষ্টা করবে অন্যথায় একাকী নামায পড়বে এবং উক্ত অশুদ্ধ তেলাওয়াতকারী ইমামের পিছনে ইক্তিদা করবে না। 



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (13 points)
ইমামের কেরাত ভুল হলে কি মুক্তাদিদেরও নামাজ শুদ্ধ হবে নাহ? নাকি নামাজ অাদায় হয়ে যাবে? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 227 views
0 votes
1 answer 206 views
...