ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
একটি হল জরুরত এবং দ্বিতীয়টি হল খাহেশাত।
সর্বনিম্ন মহর হল ১০দিরহাম।যা আমাদের বাংলাদেশী টাকায় কমবেশ ৪,০০০টাকা। যতটুকু সম্ভব ততটুক মহর আদায় পূর্বক মহিলার দৈনন্দিন জরুরত পূর্ণ করতে পারলেই কোনো পুরুষকে বিয়ের সামর্থবান হিসেবে গণ্য হবে।মহিলার খাহেশাত তথা প্রয়োজন অতিরিক্ত চাহিদা পূর্ণ করা সামর্থ্যর আওতাধীন নয়।(কিতাবুল ফাতাওয়া;৪/৩০৭)
কোনো কোন সাহাবী তা'লিমে কোরআনের বিনিময়ে বিয়ে করেছেন।এরশাদ হয়েছে স্বাধীন মহিলার মহরের টাকা সংগ্রহ করতে না পারলে দাসীকে(অন্যর দাসী) বিয়ে করতে পারো।এতে কোনো সমস্যা নাই।সর্বযুগেই মহরকে আদায় করতে নিজ সামর্থ্য ভিতর যা রয়েছে তাকেই মহর হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।যেমনঃ- হযরত মুসা আঃ উনার স্ত্রীর মহর হিসেবে ১০ বছর বকরী রাখালি করেছেন।তাছাড়া মহরকে বাকীও রাখা যায়।এবং কিস্তিতে ও আদায় করা যায়।
সম্মাণিত দ্বীনী ভাই!
বালেগ পুরুষ তার মহর সে নিজেই আদায় করবে।পিতামাতা আত্মীস্বজন তার পক্ষ থেকে আদায় করে নিলে সেটা তো অনেক অনেক উত্তম।বিয়ের বয়স তথা বালেগ হয়ে গেলে বিয়ে করে নেয়াটাই অর্ধেক ঈমান পূর্ণ করার নামান্তর।তৎক্ষণাৎ মহর না থাকলে বাকীতে /কিস্তিতেও আদায় করতে পারবেন।মহর নিজ সামর্থ্যানুযায়ী ঠিক করবেন।যাতে আদায় করা উনার জন্য সহজ হয়।
এবং নিশ্চয় তিনি এমন ফ্যমিলিকেই বেছে নিবেন যারা উনার কাছ উনার সামর্থ্যানুযায়ী মহর তলব করবে।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।(শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি ছেলে বেকার হয়, এবং তার মা বাবা বা ভাই মেয়ের মহর আদায় করে দেয়, এবং ছেলের মা বাবা মেয়ের ভরণপোষণ আদায় করার ওয়াদা করে , তাহলে উক্ত বেকার ছেলেও সামর্থ্যবান বিবেচনা করা হবে। এবং তার জন্য বিয়ে করাও জায়েয হবে। তার নিকট বিয়ে বসাও মেয়ের জন্য জায়েয হবে।