আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
154 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (59 points)
edited by
১.বিয়ের ক্ষেত্রে ইস্তিখারা কোন সময় করবো,দেখাদেখি হয়ে যাবার পর নাকি কথাবার্তা চলছে তখন? আর ইস্তিখারার দোআ অনেক বড়।ওটাতো মুখস্থ নেই।ছোট কোনো দোআ থাকলে সেটা কি?আর নামাজ পড়েই কি ছোট দোআ পড়বো?

২.দাম্পত্য জীবনে স্বামীর এমন অনেক কাজ আছে যাতে স্ত্রীকে মূল্যয়ন করা হয় না।তারপরও যদি স্ত্রী স্বামীর সেই কথাা মেনে চলে যেই বিষয়ে তাকে মূল্যয়ন করা হয়নি তবে তো স্ত্রীর নূূূন্যতম গায়রত বোধও হারিয়ে যায়। প্রত্যেকটা মানুষেরই  আত্মমর্যাদা আছে যার মাধ্যমে  মানুষ  তাকে মূল্যয়ন করে।স্বামির  আনুগত্য ফরজ কিন্তু স্বামী যদি স্ত্রীকে মূল্যয়ন না করে তখনও কি স্ত্রীর অভিমান করা জায়েজ নেই?রাগ করে তার কথা না মানার জায়েজ নেই।যদি এতে সে কষ্ট পায় তবে কি গুনাহ হবে?শুধু স্বামীর রাগকেই প্রাধান্য দেয়া হয়।স্ত্রীদের ক্ষেত্রে কি কিছুুই নেই?

1 Answer

0 votes
by (720,120 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জীবনের সকল টার্ণিং পয়েন্ট তথা এমন কোনো কাজ যাদ্ধারা তার জীবনের মোড় পাল্টে যায়, এমন কাজের ক্ষেত্রে মানুষের উচিৎ ইস্তেখারা করা। ইস্তেখারা করে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ  করা। 
সে হিসেবে দেখাদেখি হওয়ার পূর্বে যখন সাধারণ কথাবার্তা চলবে, তখনই ইস্তেখারা করে নেওয়াই উচিৎ। 
যেমন হযরত জাবির রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كُلِّهَا، كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ القُرْآنِ، يَقُولُ: " إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ، فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الفَرِيضَةِ، ثُمَّ لِيَقُلْ: 
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সব কাজে ইস্তিখারাহ্* শিক্ষা দিতেন। যেমন পবিত্র কুরআনের সূরাহ্ আমাদের শিখাতেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরজ নয় এমন দু’রাক‘আত সালাত আদায় করার পর এ দু’আ পড়েঃ বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1472


(২)
স্বামীকে আল্লাহ তা’আলা ঘরের আমীর নির্ধারণ করে দিয়েছেন। পরিবারের সবার সাথে আলোচনা সাপেক্ষ্যে উনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। পরিবারের সকল সদস্যর সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উত্তম। তবে উনি যেহেতু ঘরের কর্তা, তাই পরামর্শ ব্যতিতও উনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন। এতে স্ত্রীর মন খারাপ হওয়ার কোনো যুক্তি নেই। হ্যা, স্ত্রীর হকের ব্যাপারে উনি কোনো প্রকার জুলুম নির্যাতন করতে পারবেন না। এবং স্ত্রীর ব্যক্তিগত কোনো বিষয়ে উনি কোনো সিদ্ধান্তকে চাপিয়ে দিতে পারবেন না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...