ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জীবনের সকল টার্ণিং পয়েন্ট তথা এমন কোনো কাজ যাদ্ধারা তার জীবনের মোড় পাল্টে যায়, এমন কাজের ক্ষেত্রে মানুষের উচিৎ ইস্তেখারা করা। ইস্তেখারা করে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
সে হিসেবে দেখাদেখি হওয়ার পূর্বে যখন সাধারণ কথাবার্তা চলবে, তখনই ইস্তেখারা করে নেওয়াই উচিৎ।
যেমন হযরত জাবির রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كُلِّهَا، كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ القُرْآنِ، يَقُولُ: " إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ، فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الفَرِيضَةِ، ثُمَّ لِيَقُلْ:
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সব কাজে ইস্তিখারাহ্* শিক্ষা দিতেন। যেমন পবিত্র কুরআনের সূরাহ্ আমাদের শিখাতেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরজ নয় এমন দু’রাক‘আত সালাত আদায় করার পর এ দু’আ পড়েঃ বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1472
(২)
স্বামীকে আল্লাহ তা’আলা ঘরের আমীর নির্ধারণ করে দিয়েছেন। পরিবারের সবার সাথে আলোচনা সাপেক্ষ্যে উনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। পরিবারের সকল সদস্যর সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উত্তম। তবে উনি যেহেতু ঘরের কর্তা, তাই পরামর্শ ব্যতিতও উনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন। এতে স্ত্রীর মন খারাপ হওয়ার কোনো যুক্তি নেই। হ্যা, স্ত্রীর হকের ব্যাপারে উনি কোনো প্রকার জুলুম নির্যাতন করতে পারবেন না। এবং স্ত্রীর ব্যক্তিগত কোনো বিষয়ে উনি কোনো সিদ্ধান্তকে চাপিয়ে দিতে পারবেন না।