بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
ألا كُلُّكُمْ راعٍ ، وكُلُّكُمْ مَسؤولٌ عن رَعِيَّتِهِ’
তোমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল আর তোমাদের প্রত্যেককে সে দায়িত্ব সম্পর্কে জবাব দিতে হবে।’ ( বুখারি ৭১৩৮)
সুতরাং যোগ্য ইমাম নির্বাচন করার ক্ষেত্রে মসজিদ কমিটি দায়িত্বশীল। জেনে শুনে অযোগ্য ব্যক্তিকে ইমাম নিয়োগ দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ (বিশেষতঃ মসজিদ কমিটিকে) সমাজের সকলের হক নষ্টকারী হিসেবে আল্লাহর কাছে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমাম ও মুয়াযযিনের ব্যাপারে বলেছেন,
ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺿﺎﻣﻦ ﻭﺍﻟﻤﺆﺫﻥ ﻣﺆﺗﻤﻦ، ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺃﺭﺷﺪ ﺍﻷﺋﻤﺔ ﻭﺍﻏﻔﺮ ﻟﻠﻤﺆﺫﻧﻴﻦ
‘ইমাম হচ্ছে দায়িত্বশীল আর মুয়াজ্জিন আমানতদার, হে আল্লাহ! ইমামদের সঠিক পথ দেখান এবং মুয়াজ্জিনদেরকে ক্ষমা করুন’। (তিরিমিযী ২০৭)
এজন্য মসজিদ কমিটির দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কর্তব্য হল, কোরআন-সুন্নাহর যথাযথ অনুসারী,সঠিক কিরাআত আদায় কারী যোগ্য ইমাম নির্বাচন করা।
কেননা নামাজে কেরাত অশুদ্ধ পড়ার কারণে যদি তার অর্থের মধ্যে এমন বিকৃতি ঘটে যা কুরআনে বর্ণিত ঘটনা বা তথ্যের সম্পূর্ণ বিপরীত অথবা ভুলের কারণে যে অর্থ সৃষ্টি হয়েছে তা যদি ঈমান পরিপন্থী কথায় পরিণত হয় তাহলে নামায নষ্ট হয়ে যাবে।
فى الفتاوى الهندية – ولا يصح اقتداء القارئ بالأمي
উম্মির(অর্থাৎ যার কেরাত অশুদ্ধ) পিছনে ক্বারীর(অর্থাৎ যার ক্বিরাত বিশুদ্ধ) ইকতিদা সহীহ নেই। ফাতাওয়া শামী- ২/৩২৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৪৩-১৪৪, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া-২/২৫৬
এবং যে ব্যক্তি প্রকাশে কবীরা গুনাহ করে সে ফাসিক । ফাসিক ব্যক্তির পিছনে নামায পড়া মাকরূহে তাহরীমি।
فى الفتاوى الهندية –ويكره إمامة عبد وأعرابي وفاسق وأعمى
(ফাতাওয়ায়ে শামী- ২/২৯৮-২৯৯, মিনহাতুল খালেক আলাল বাহরির রায়েক-১/৬১১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
১.প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি জনগনকে বুঝিয়ে সেই ইমাম পরিবর্তন করানোর সর্বাত্নক চেষ্টা করবেন।নিজে অথবা স্থানীয় হক্বানী উলামায়ে কেরামের মাধ্যমে কমিটির লোকদেরকে ভালো ভাবে বুঝাবেন যে, কাহারো নামাজ হচ্ছেনা।এবং আপনি পার্শবর্তী ভিন্ন মসজিদে নামাজ আদায় করার চেষ্ট করবেন।
২. মুসল্লিদেরকে এসব ভুল সম্পর্কে অবগত করা আপনার দায়িত্ব।
৩. যদি নামাজ ফাসেদ হওয়ার মতো ক্বেরাতে এমন ভুল হয় যদ্বারা অর্থ বিকৃত হয়,সেক্ষেত্রে পূর্বের নামাজগুলি আদায় হয়নি।পুনরায় আদায় করতে হবে।