আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
238 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (101 points)

আসসালামুআলাইকুম

রোজা:

১)সুবহে সাদিকের পর আমি কাযা ও নফল রোজার নিয়ত করতে প্রস্তুত হই এবং কাযা রোজার নিয়ত ও করে ফেলি। কারণ আমি জানতাম যে দ্বিপ্রহর পর্যন্ত রোজার নিয়ত করা জায়েজ।কিন্ত কাযা রোজার নিয়ত করার মোবাইলে দেখলাম যে কাযা রোজার নিয়ত নাকি সুবহে সাদিকের আগে করতে হয়।এটা কি সঠিক? আর এটা দেখার পর কাযা রোজার নিয়ত টা বাদ দিয়ে নফল রোজা রাখার নিয়ত করি।এতে আমার নফল রোজা সহিহ হবে কি?

নামাজ:

১)ওযু করার পর তাড়াতাড়ি নামাজে দাঁড়িয়ে যাই।এমতাবস্থায় ঢোক গিলার প্রয়োজন হয় ও ঢোক গিলে ফেলি কিন্তু এসময় লালার মধ্যে ঠান্ডা অনুভূত হয় কিন্তু চেহারার কোনো পানি গড়িয়ে মুখে গিয়েছে বলে মনে পড়ে না তবে হতে পারে যে কুলি করার পর মুখে পানি অবশিষ্ট থেকে গিয়েছিল।এমতাবস্থায় কি নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে?এরকম প্রায়ই হয় আমার সাথে।

২)ওযু করার পর চেহারার পানি যদি গড়িয়ে নাকের সামনে আসে এবং নাক দিয়ে তা টেনে ফেলি,আর তা যদি গলা দিয়ে ভেতরে যায় তাহলে নামাজ কি ভঙ্গ হয়ে যাবে?

৩)মাথার চুল ঘামার ফলে ঘাম যদি গড়িয়ে ঠোঁটে এসে পড়ে এবং তা যদি গিলে ফেলা হয় তাহলে নামাজ ভঙ্গ হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


রোজাঃ
(০১)
নিয়ত মানে হল মনস্থির করা। কোন কাজটি করছি? কেন করছি? কার জন্য করছি? কি করছি? এসব বিষয় নির্ধারণ করার নাম হল নিয়ত।
মুখে নিয়ত করার প্রয়োজন নেই। মনে মনে নিয়ত করলেই যথেষ্ট।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি সাহরী খাওয়ার সময় কাজা রোযা আদায়ের নিয়তেই খেয়ে থাকেন,বা সুবহে সাদিকের আগেই মনে মনে কাজা রোযা রাখার নিয়ত করে থাকেন,তাহলে তাহা আদায় হয়ে যাবে।
কোনো সমস্যা নেই।
,
আর যদি তা না করে থাকেন,তাহলে কাজা রোযার নিয়ত যেহেতু সুবহে সাদিকের আগেই করতে হয়,সেক্ষেত্রে আপনি আজ আর কাজা রোযা রাখতে পারবেননা।
,
আপনার নফল রোযার নিয়ত ছহীহ হবে। 

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَفْصَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ لَمْ يُجْمِعِ الصِّيَامَ قَبْلَ الْفَجْرِ فَلاَ صِيَامَ لَهُ " .

আহমদ  ইবন সালিহ ....... নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  এর  স্ত্রী  হাফসা  (রাঃ)  হতে  বর্ণিত।  তিনি বলেন,  রাসূলুল্লাহ্  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  ইরশাদ  করেছেন,  যে  ব্যক্তি  ফজরের  পূর্বে  রোযার  নিয়্যাত  করবে  না,  তার  রোযা  আদায়  হবে  না।
(আবু দাউদ ২৪৪৬)

أَخْبَرَنِي الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ دِينَارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ شُرَحْبِيلَ، قَالَ أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ حَفْصَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ لَمْ يُبَيِّتِ الصِّيَامَ قَبْلَ الْفَجْرِ فَلاَ صِيَامَ لَهُ " .

কাসেম ইবনু যাকারিয়া (রহঃ) ... হাফসা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি (রমযানের সাওম ব্যতীত) রাত্রে সাওমের নিয়্যত না করে তার সাওম পালন করা হবে না।

[সহীহ। নাসায়ী ২৩৩৩. ইবন মাজাহ ১৭০০, ইরউয়াউল গালীল ৯১৪]

নফল রোযার নিয়ত করার সময়সীমা হল, দিনের মধ্যভাগ পর্যন্ত। অর্থাৎ দিনের মধ্যভাগের আগ পর্যন্ত নিয়ত করলে তা শুদ্ধ হবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ একসাথে কাজা আর নফল রোযার নিয়ত করলে কোনো রোযাই আদায় হবেনা। 

এ সংক্রান্ত জানুনঃ
,
★নামাজঃ
(০১)
এতে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
,
(০২)
নামাজের মধ্যে এ কাজ করে থাকলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
,
(০৩)
নামাজের মধ্যে এ কাজ করে থাকলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 117 views
...