আসসালামু আলাইকুম। আমি আবুল গাজী, কোরীয়া থেকে।
প্রশ্নঃ আমার স্ত্রীর দাবী যে, ঝগড়ার সময় আমি নাকি বলেছি, " তরে ছাইড়া দিলাম" কিন্তু আমার যতদূর মনে পড়ে আমি বলেছি "তুই আমার কথা না শুনলে আমার বাড়িতে থাকার দরকার নাই, তর বাপের বাড়ি চইলা যা। উল্লেখ্য যে, আমি এসব বলেছি ভয় দেখানোর জন্য বা ধমক স্বরূপ। তালাকের নিয়তে নয়।
এখন ২ টা প্রশ্ন হল যে, ১)উপরোক্ত দুইটি দাবী দুজনের দুইরকম। এই কথাগুলোর দ্বারা কি তালাক হয়েছে?
কোন এক ওয়েব পেইজে পড়েছিলাম যে, তালাকের নিয়ত না থাকলেও ছাইড়া দিলাম বললে এক তালাক হয়ে যায়,। এটা দেখে আমি ঘাবড়ে যাই, তখন রাজাআত সম্পর্কে জানতে পারি যে, তিন মাসের (ইদ্দতের) ভিতর ফিরিয়ে নিতে পারব কোনরূপ বিবাহ দোহরানো ছাড়া।
প্রশ্ন ২) যেহেতু আমি প্রবাসী তাই রাজাআাতের জন্য স্বামী স্ত্রী একত্রে থাকার সুযোগ ছিলনা তাই তাত্ক্ষণিক আমি আমার মা চাচী দেরকে শশুর বাড়িতে পাঠাই স্ত্রীকে নিয়ে আসার জন্য। সে আসতে রাজি না তার দাবী আমি ঐটা বলেছি (ছাইরা দিলাম)। আমি ঝামেলা বাড়াতে চাইনি। তাই অস্বীকার করেছি যে আমি ওসব বলিনাই। কারন, কোন কথায় কতটুকু হয় বা রাজাআত বিষয়ে এতসব বুঝাইতে গেলে ঝামেলা আরো বাড়বে, তাই আমি ওর দাবী অস্বীকার করেছি এবং বারবার আমার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলেছি/অনুরোধ করেছি/চাপ দিয়েছি এমনকি আমার শশুরকেও অনেক ভাবে বলেছি। প্লাস আমি নিজে নিজে মনে মনে বলেছি আমার স্ত্রী কে ফিরিয়ে নিলাম। ওরে শুনিয়ে বলিনি কারন ঝামেলা বাড়ে কিনা... অতঃপর কোন এক কারনে ছুটিতে দেশে যাই। তখন স্ত্রী প্রেগন্যান্ট ছিল ৮ মাস। যতটুকু জানি ইদ্দত সময় তিন মাস এবং প্রেগন্যান্ট মেয়েদের ইদ্দত বাচ্চা প্রসব হওয়া পর্যন্ত। ঐ অবস্থায় আমি স্ত্রী সহবাস করি যদিও তখন ঐ ঝগড়ার ৫ মাস হয়ে গেছে, আমি প্রেগন্যান্ট অবস্থাকে ইদ্দত সময় ধরে সহবাস করেছি।
উপরোক্ত সুরতগুলোর কোনটি দ্বারা কি আমার রাজাআত (রুজু) শুদ্ধ হয়েছে? প্লিজ জানাবেন হুজুর। খুব হতাশায় আছি।