#জরুরিমাসআলা
আসসালামু আলাইকুম এডমিন মহোদয়গণ পোস্টটি এপ্রুভ করার জন্য অনুরোধ নিন্মোক্ত ঘটনাগুলো মাসআলা সুস্পষ্ট দলিল প্রমাণের আলোকে দিলে খুব উপকার হতো
আমার বাবা পাচ ওয়াক্ত নামাজি কয়েক বছর আগে হজ করে এসেছেন
ঘটনা ---1
কিন্তু তিনি অনেক আগে থেকেই গান শুনেন গান শুনার ক্ষেত্রে তার যুক্তি হলো : গান শুনলে মন ভালো থাকে
গান শুনলে অনেক কিছু শেখা যায় যার কারণে গান শুনা এবং শুনানোটাকে তিনি গুনাহ বলে মানেন না
মাঝেমধ্যে তিনি একটি গান বলেন : প্রেম কইরাসে ইউসুফ নবী তার প্রেমে জুলেখা বিবিগো ও সে প্রেমের দায়ে জেল খাটিল জেল খাটিল প্রেমের দায়ে জেল খাটিল তবু সে প্রেম ছাড়ল না দরদী
ঘটনা ---2
আমার বাাবাকে একবার বলা হয়েছিল কারো কাছে ধার দেনা রেখে মারা গেলে আখিরাতে শাস্তি পেতে হবে তখন সে ঔদ্ধত্ব প্রদর্শন করে বলেছিল কবরে শাস্তি পাইলাম তো কি হইসে
ঘটনা ---3
আমার টেবিলের ওপর বিভিন্ন কুরআন হাদীসের বই থাকে একদিন আমি বাসায় না থাকায় আমার বড় বোনের সামনে সে বলে ,“ আমার মনে চায় আমি এসব (কুরআন হাদীসের বই) আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেই “
ঘটনা ---4
সে প্রায় সময়ই দুনিয়ার অপরিহারযতা বোঝানোর জন্য বিভিন্ন নীতিকথা বলে বেড়ায় তার একটি হলো : “শিক্ষাই জীবন , পরিশ্রমই উন্নত “ একথাটি বলে তারপর বললেন এ কথাটি আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন
ঘটনা ---5
আমি রুহের চিকিৎসা নামক বই থেকে হাদীস পড়ছিলাম তিনি তখন বলে উঠলেন “ এসব কাঠমোল্লাদের বানানো হাদীস “ এরকম ভাবে যখনই কোন হাদীস তার মনমতো না হয় সে বলে এগুলো হুজুরদের বানানো
ঘটনা ---6
আমি তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন থেকে পড়ছিলাম তখন তিনি খুব সাহসিকতার সাথে বললেন “এগুলো হুযুরদের বানানো হুজুররা টাকাপয়সা ইনকামের জন্য একেকজন একেকরকম লেখে ”
ঘটনা ---7
ঢাকার মালিবাগে থাকার সময় ছোট বাচ্চাদের বোরকা পরা দেখলে তিনি বলেন , “ এগুলো বাড়াবাড়ি ইসলাম এতো কঠিন নয় “
ঘটনা ---8
মেয়েদের ফরজ পর্দা করতে দেখলে তিনি এটাকেও বাড়াবাড়ি বলেন আরও বলেন , এতো ধার্মিকতা ভালো না ইসলমা কি আমরা পালন করি না ? “ তাছাড়া তিনি বালেগা মেয়েদের ফরজ পর্দা করার কঠোর বিরোধী তার মত হলো মেয়েরা সকলের সামনে যাবে সকলের সাথে কথা বলবে , হাসি ঠাট্টা করবে স্বাভাবিক থাকবে
ঘটনা ---9
তিনি একবার মুফতি আবু সাইদ সাহেব (ফরিদাবাদ মাদরাসা) এর ব্যাপারে বলেছে < হুজুর খালি নিজের কাহিনী বর্ণনা করে এর কিছুক্ষণ পর সে হুজুরকে ফাসেক আখ্যায়িত করে
ঘটনা ---10
সে প্রায়ই সময় বলে , “আমি মইরা গেলে কত যে লাথি উষ্টা খাবি কেউ চাইর আনা পয়সা দেবে না , আমি বাইচা আসি কইরা নে মইরা গেলে এক পয়সাও ভাইরা দেবে না ” ( যদিও বর্তমানে ভাইয়েরাই খরচাপাতি দেয়) সম্ভবত সে নিজেকে রিজিকদাতা মনে করে তার আশঙ্কা সে মারা গেলে আমি না খেয়ে মারা যাব কিংবা আমাকে রক্ষা করার , রিযিক দেয়ার কেউ থাকবে না
ঘটনা ---11
আমার মা লাইফ ইন্সুরেন্স করেছিলেন মৃত্যুর আগে তিনি বলে গিয়েছিলেন সুদের সব টাকা দান করে দিতে কিন্তু আমার বাবা সে টাকা দান করতে অস্বীকার করে এবং সুদের টাকাকে সে সুদ বলে না বরং সে বলে আগেকার টাকার দাম আর এখনকার টাকার দাম এক না তাই এটা সুদ নয় উপরন্তু সুদকে সে খারাপ মনে করে না বরং সুদী ব্যাংকে চাকরি করাটাকে খুব ভালো কাজ, গৌরবের কাজ, সম্মানের কাজ মনে করে সুদী ব্যাংকে চাকরি করাটাকে গর্বের বিষয় মনে করে
ঘটনা ---12
অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে সে কোন হালাল হারামের তোয়াক্কা করে না তার বক্তব্য হলো অর্থ উপার্জনের জন্য যেকোন পথ অবলম্বন করা যায় টাকা পয়সা আসলেই হলো
ঘটনা ---13
জুমুআর বয়ানে খতিব সাহেব বলেছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানে শেষ দশদিনে কোমর বেধে ইবাদত করতেন সারারাত্র ইবাদত করতেন এবং পরিবারকেও জাগিয়ে দিতেন এতে তিনি বাসায় এসে রেগে গিয়ে বলেন .“ সারারাত ইবাদত করলে অর্থ উপার্জন করত কোন সময় খাওয়া দাওয়া করতো কোন সময় ?
জানার বিষয় হলো এখন উনাকে ইসলামের দৃষ্টিতে কি বলা হবে ? উনাকে মুসলমান বলা যাবে কি না ? না হলে মৃত্যুর পর কি করতে হবে ?
বি:দ্র : উনি আখিরাতের আযাবের পরোয়া করেন না