জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
কুরআন হাদীসে এ আমলের কোনো ভিত্তি নেই।
(০২)
আযানের পর দোয়া পড়া সুন্নাত।
তবে কেহ এটি না পড়লে গুনাহ হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ النِّدَاءَ اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ، حَلَّتْ لَهُ شَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ "
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আযান শুনে দু‘আ করেঃ ‘হে আল্লাহ্-এ পরিপূর্ণ আহবান ও প্রতিষ্ঠিত সালাতের মালিক, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে ওয়াসীলা ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী করুন এবং তাঁকে সে মাকামে মাহমুদে পৌঁছে দিন যার অঙ্গীকার আপনি করেছেন’-ক্বিয়ামাতের দিন সে আমার শাফা‘আত লাভের অধিকারী হবে।* (বুখারী শরীফ ৬১৪.৪৭১৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৫৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৫৮৭)
আজানের পর হাত তুলে দোয়া পড়া ও মোনাজাত করার কথা হাদিসে নেই। (ফয়জুল বারি : ২/১৬৭, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া : ১৬/২০৮)
★সুতরাং উক্ত দোয়া হাত না তুলেই করবেন।
এই দোয়ার ভিতরের দরুদ আছে,আলাদা দরুদ পড়তে হবেনা।
জাস্ট শুধু সেই দোয়া পড়বেন।
,
(০৩(
মাগরিবের পরের যিকির যদি সুন্নাহ দ্বারা নামাজের সাথেই নির্দিষ্ট হয়ে থাকে,তাহলে সেই যিকির আগে আদায় করলে ফল পাওয়া যাবেনা।
অন্যথায় আগেই যিকির করা যাবে।
,
(০৪)
না এতে কাজা রোযার নিয়ত করা যাবেনা।
যদি কাজা রোযা রাখেন,তাহলে শুধু কাজা রোযারই নিয়ত করবেন।
,
(০৫)
এক্ষেত্রে উক্ত ব্যাক্তি পিছনে থাকা খাটে বসে সেজদাহ করতে পারবে।
তবে আমলে কাসীর হলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
,
করনীয় হলো খাটে দাড়িয়ে সালাত আদায় করে সেজদার সময় বসে সেজদাহ আদায় করবে।
,
(০৬)
এ সংক্রান্ত বিধান জানুনঃ