শরীয়তের বিধান হলো সুন্নাত আদায় হওয়ার জন্য আযান হওয়া শর্ত নয়।
বরং নামাজের ওয়াক্ত হয়ে যাওয়াই যথেষ্ট।
তবে কেহ যদি আযানের পরে সুন্নাত আদায় করে,তাহলে সে অতিরিক্ত ফজিলত পাবে।
কেননা হাদীস শরীফে আযান ইকামতের মাঝে নামাজ আদায়ের তাকিদ এসেছে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৭/৩৩৪)
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " بَيْنَ كُلِّ أَذَانَيْنِ صَلَاةٌ بَيْنَ كُلِّ أَذَانَيْنِ صَلَاةٌ لِمَنْ شَاءَ " . - صحيح : ق
‘আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক দুই আযান (আযান ইকামত) এর মধ্যবর্তী সময়ে সলাত রয়েছে।, যার ইচ্ছে হয় পড়তে পারে।
বুখারী (অধ্যায় : আযান, অনুঃ আযান ও ইক্বামাতের মধ্যে পার্থক্য কতটুকু, হাঃ ৬২৪), মুসলিম (অধ্যায় : মুসাফিরের সলাত ও ক্বাসর করা, দুই আযানের মাঝে সলাত,আবু দাউদ ১২৮৩)
وفي الہامش: المراد بیان أن مع کل فریضۃ نفلا، وینبغي أن یصلي بینہما نافلۃ لشرف الوقت وکثرۃ الثواب۔ (حاشیۃ سنن الترمذي ۱؍۴۵)
সারমর্মঃ
ওয়াক্তের ফজিলত আর বেশি ছওয়াব লাভের উদ্দেশ্যে আযান ইকামতের মাঝে নফল পড়া উচিত।
যদি জামা'আত দাড়িয়ে যায়,তাহলে দেখতে হবে যে
যদি ইমামের সাথে শেষ বৈঠকে শরীক হওয়ার আশা থাকে,তাহলে এক্ষেত্রে আগে সুন্নাত পড়বে,তারপর জামা'আতে শরিক হবে ।
,
যদি শেষ বৈঠকে শরীক হওয়ার আশা না থাকে,
বরং জামা'আত শেষ হওয়ার আশংকা থাকে,তাহলে আগে সুন্নাত পড়বেনা।